এদের কথা বলার কারণ হচ্ছে- একটা নির্দিষ্ট বয়সের পরেই এদেশের ছেলেমেয়েদের একটা বড় অংশ বলতে থাকে: আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবেনা। এভারেস্টে উঠবো কীভাবে? বয়স আছে?
তাদের জানিয়ে রাখি- সবচেয়ে বেশি বয়সী যে মানুষটি এভারেস্টে উঠেছেন তাঁর নাম ইউকিরো মুইরা, তার বয়স ছিল মাত্র ৮১ বছর! সবচেয়ে বেশি বয়সে সাহিত্যে নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন ডরিস লেসিং, মাত্র ৮৮ বছর বয়সে!
একবার না পারলে হাল ছেড়ে দিয়ে ফ্যানে ঝুলে পড়ার দরকার নেই। ফ্যানে ঝুলে পড়ার আগে তোমার আফসোস হওয়া উচিত- কি কি করোনি, কোথায় কোথায় যাওনি ভেবে! স্নো ফল দেখেছ? আইফেল টাওয়ার দেখেছ? সমুদ্রের সামনে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় দেখেছ?
তোমাকে জানিয়ে রাখছি আমার কাছের এক বড়ভাই বাংলাদেশ থেকে প্রথম উত্তর মেরুতে গিয়েছেন। তার নাম তারেক অনু ও তাঁর সঙ্গীর নাম ইনাম আল হক। অনু আর ইনাম ভাই উত্তর মেরুতে প্রথম গিয়েছেন তাইই না, তাঁরাই বাংলাদেশ থেকে উত্তর মেরুতে যাওয়া প্রথম ও একমাত্র অভিযাত্রী!
হাল ছেড়ে দিওনা। জীবনটা এ প্লাস, বি প্লাসের না। কারণ সফলতার মার্কশিট বলে কিছু নাই। যদি থাকতো তাহলে ড্রপ আউট স্টুডেন্ট বিল গেটস বিশ্বের সবচেয়ে ধনী হতেন না, মার্ক জুকারবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইস্তফা দেওয়ার দশ বছর পর অনারারি ডক্টরেট পেতেন না অথবা মৃত্যুর পর ভ্যান গঘ পৃথিবীর সবচেয়ে এক্সপেন্সিভ শিল্পী হতেন না।
জীবনের বেঁচে থাকার দিনগুলি থাকে জীবনের সবচেয়ে পরিশ্রম করার দিনগুলিতে, জীবনে বারবার হেরে যাওয়ার দিনগুলিতে। কতো দিন গেছে একটা অংক না পেরে ১৬ পাতা খরচ হয়েছে, মেলেনি! কতো দিন গেছে একটা ভালো লেখা লিখতে না পারার দুঃখে পুরো ডায়েরি কুচি কুচি করে ছিঁড়ে নতুন ডায়েরি নিয়ে বসেছি!
মনে রেখো, জীবনটা রেস নয়, জীবনটা জার্নি! জীবনের সবচেয়ে আনন্দ থাকে জীবনে হাল ছেড়ে না দেওয়ায়। আর যাইই হোক- জীবনের শেষদিন পর্যন্ত লেগে থাকার মজাটা কিন্তু জীবন শেষ হয়ে গেলে পাবেনা!
(সংগৃহীত)
No comments:
Post a Comment