Monday, November 18, 2024

রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড থেকে ৫ শিক্ষা


বই থেকে শেখা


এম এম মুজাহিদ উদ্দীন


আমেরিকান ব্যবসায়ী এবং লেখক রবার্ট তোরু কিয়োসাকির লেখা ‘রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড’ বইটি ১৯৯৭ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। বইটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে ব্যক্তিগত আর্থিক উন্নতির বইয়ের ক্যাটাগরিতে বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রীত হিসেবে স্বীকৃত। বইটি পড়লে আর্থিক উন্নতি, বিনিয়োগ ও সম্পদ বিষয়ে গতানুগতিক ধারণা বদলে দেবে।


সম্পদ এবং দায়বদ্ধতার পার্থক্য বুঝুন


বইটির লেখক কিয়োসাকি বলেছেন, বেশির ভাগ মানুষ সম্পদ এবং দায়বদ্ধতার পার্থক্য বুঝতে পারেন না। সম্পদ হলো এমন জিনিস, যার ফলে টাকা তৈরি হয়। যেমন: রিয়েল এস্টেট, স্টক এবং ব্যবসা। অন্যদিকে দায়বদ্ধতা হলো এমন জিনিস, যা আপনার পকেট থেকে টাকা বের করে দেয়। যেমন: বাড়ি-গাড়ির ঋণ, ক্রেডিট কার্ডের ঋণ প্রভৃতি। যেমন: কেউ যদি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বাড়ি কেনেন, তাহলে সেটি তাঁর সম্পদ নয়, সেটি একটি দায়। কেননা এর থেকে কোনো আয় আসছে না। যে টাকা আসছে, তা ঋণের কিস্তি দিয়ে সব খরচ হয়ে যাচ্ছে। ফলে এটি সম্পদ না হয়ে দায় হয়ে যাচ্ছে।


আর্থিক শিক্ষা গ্রহণ করুন। 


এই বইয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হলো আর্থিক সাফল্যের জন্য আর্থিক শিক্ষা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আর্থিক শিক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত হলেও অনেকের আর্থিক শিক্ষা থাকে না। ফলে শিক্ষিত হলেও অনেকের জীবন থেকে দরিদ্রতা যায় না। বইটিতে ধনী বাবা এবং গরিব বাবার কথা বলা হয়েছে। গরিব বাবা সুশিক্ষিত ছিলেন এবং চাকরি করে বেতন পাওয়ায় বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি আজীবন গরিব থাকেন। অন্যদিকে প্রাতিষ্ঠানিক কম শিক্ষিত হলেও তাঁর ধনী বাবা আর্থিকভাবে বেশি শিক্ষিত ছিলেন। তিনি সম্পদ গড়ে তুলতে এবং আর্থিকভাবে স্বাধীন হওয়ার জন্য অর্থ বিনিয়োগ ও ব্যবসা চালাতে বিশ্বাস করতেন।


টাকার জন্য কাজ করবেন না


গরিবরা শুধু টাকার জন্য কাজ করেন, অন্যদিকে ধনীরা শুধু টাকার জন্য কাজ করেন না। তাঁরা এমন কাজ করেন, যা থেকে দক্ষতা অর্জন হয়। আপনি যদি শুধু বেতনের জন্য কাজ করেন, তাহলে ইঁদুরের দৌড় থেকে কখনোই বের হতে পারবেন না। প্রকৃত সম্পদ অর্জন করতে পারবেন না। তবে, আপনি যদি নতুন দক্ষতা বিকাশের জন্য কাজ করেন, তাহলে আপনি ধীরে ধীরে আরও প্রতিভাবান হয়ে উঠবেন। একই সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদে নিজের জন্য অর্থ উপার্জনের নতুন সুযোগ তৈরি করবেন। ওই দক্ষতা দিয়ে বিভিন্ন রকম আয়ের উৎস তৈরি করতে পারবেন।


আর্থিক ঝুঁকি নিন


ধনী হওয়ার জন্য আর্থিক ঝুঁকি নিতে হবে। আপনি যদি সবার মতো একই পথ অনুসরণ করেন, তাহলে আপনি সবার মতো ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে যাবেন। জীবনে আর্থিকভাবে সফল হতে পারবেন না। আপনি ভিন্ন কিছু পেতে চাইলে আপনাকে ভিন্ন কিছু করতে হবে। ধনীরা নতুন জিনিস চেষ্টা করে এবং তাদের পাশ কাটিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে বিভিন্ন সুযোগ অন্বেষণ করে। আপনি যদি প্রচুর মুনাফা অর্জন করতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই উচ্চ ঝুঁকি নিতে হবে।


খরচকে নিয়ন্ত্রণ করুন


কত টাকা মাসে আয় করলেন তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো খরচ শেষে মাসে কত টাকা আপনার সঞ্চয় থাকল। উদাহরণস্বরূপ, আপনি মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করে সব টাকা খরচ করে ফেলার চেয়ে ৩০ হাজার টাকা আয় করে মাস শেষে ১০ হাজার টাকা সঞ্চয় থাকলে সেটি উত্তম। একমাত্র ওই টাকাই আপনার জীবনে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে, যে টাকা আপনি সঞ্চয় করেন। ধনী হওয়ার প্রথম পদক্ষেপ হলো টাকা আয় করা। তবে আপনাকে শুধু বেশি টাকা আয় করা শিখলে চলবে না। সেই টাকা কীভাবে ব্যবহার করতে হবে, সে দক্ষতা থাকতে হবে।


সোর্স: আজকের পত্রিকা

 

Saturday, November 9, 2024

 বাংলাদেশের স্বনামধন্য ব্যবসায়িক শিল্প সংস্থা নাভানা গ্রুপের নাম শুনেননি এমন মানুষের সংখ্যা হয়তো খুবই কম। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না ভুল ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত, লাগামহীন ঋণ, অব্যবস্থাপনা এবং সুশাসনের অভাবে দেশের অন্যতম বৃহৎ ব্যবসায়িক গ্রুপটি অনেকটাই খাদের কিনারায় চলে গিয়েছিল।


গ্রুপটির ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, "আমাদের এখানে উদ্যোক্তারা নিজের শক্তির বাইরে গিয়ে সব ব্যবসা করতে চায়। এটা উদ্যোক্তাদের ইগো সমস্যা।" এই যে নিজের শক্তির বাইরে গিয়ে ব্যবসা করতে চাওয়া এটাকে বলে 'দ্য ল অব এক্সক্লুসিভিটি'। ল অব এক্সক্লুসিভিটি ভায়োলেট করার জন্য চরম মূল্য দিতে হয় প্রতিষ্ঠানকে। অনেক উদাহরণ আছে যে, বহু প্রতিষ্ঠান শুধু ল অব এক্সক্লুসিভিটি ভায়োলেট করার জন্য খাদের কিনারে চলে গিয়েছে। 


একজন উদ্যোক্তা কিংবা ব্যবসায়ীকে শুধুই নিজের অফিসের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকলেই চলবে না। জানতে হবে ব্যবসার নাড়ীনক্ষত্র। জানতে হবে ল অব এক্সক্লুসিভিটির মতো আরো অসংখ্য নীতি। আর এসব ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে বই। বই আপনাকে আউট অব দ্য বক্স চিন্তা করা শেখাবে।


ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের জন্য প্রজন্ম পাবলিকেশনের বিশেষ আয়োজন রয়েছে। আমরা আপনাদের জন্য প্রকাশ করেছি অতীব জরুরী কিছু বই যা প্রত্যেক উদ্যোক্তা, প্রত্যেক ব্যবসায়ীর পড়া উচিৎ। গ্যারান্টি দিচ্ছি আমাদের বইগুলো থেকে আপনি এমন কিছু শিখবেন যা আপনার ব্যবসা কিংবা উদ্যোগকে গতিশীল করবে। যদি না করে তবে আপনি বইগুলো ফেরত দিয়ে টাকাটা ফিরিয়ে নেবেন।


ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের জন্য আমাদের বইগুলোঃ

1. স্টার্ট ইয়োর বিজনেস - 190 Tk

2. এক্স্যাক্টলি হোয়াট টু সে - 158 Tk

3. এক্স্যাক্টলি হোয়্যার টু স্টার্ট - 221 Tk

4. এক্স্যাক্টলি হাউ টু সেল - 316 Tk

5. সফল উদ্যোক্তা | দ্য হাই পারফর্ম্যান্স এন্টারপ্রেনার - 316 Tk

6. 22 সিক্রেট অব মার্কেটিং - 253 Tk

7. ছোট অভ্যাস বড় সাফল্য - 277 Tk

8. সুখী ও সুন্দর জীবনের ফরমুলা - 355 Tk

9. এটিচিউড ইজ এভরিথিং - 237 Tk

10. 22 সিক্রেট অব ব্র্যান্ডিং- 300 Tk


বইগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বা কিছু অংশ পড়ে দেখতেঃ https://projonmo.pub/product-category/non-fiction/business/ 


দশটি বই একত্রে ২৬২৩ টাকা। একত্রে পুরো সেট ক্রয় করলে ডেলিভারি চার্জ সম্পূর্ণ ফ্রি। এছাড়া ৫০ টাকা ডেলিভারি চার্জ যুক্ত হবে। ৫০০ টাকার ওপরের অর্ডারে সারাদেশেই ক্যাশ অন ডেলিভারির সুব্যবস্থা আছে।


অর্ডার করুন সরাসরি ওয়েবসাইটেঃ https://projonmo.pub/product-category/non-fiction/business/


অথবা নাম, সম্পূর্ণ ঠিকানা ও ফোন নম্বর ইনবক্সে দিন। আমরা আপনার দেওয়া ফোন নম্বরে কল করে কনফার্ম করে বই পাঠিয়ে দেব আপনার ঠিকানায়। শতভাগ নিশ্চিত হয়ে অর্ডার করার অনুরোধ।


*নাভানা গ্রুপের তথ্যটি দ্য বিজনেস স্টান্ডার্ডের সৌজন্যে।

 

যে মানুষটাকে আপনি আজ খুব বাজে ভাবে ঠ'কালেন! সে মানুষটা আপনাকে অ'ভিশাপ দিক বা না দিক, আপনিও একদিন খুব বাজে ভাবে ঠ'কে যাবেন, হয়তো অন্য কারো কাছে নয়তো অন্য কোনো ভাবে, তবে ঠকে আপনি অবশ্যই যাবেন, কারণ! বাস্তবতা হচ্ছে-- তার থেকে আপনার মুক্তি মিললেও, তার রুহের হায় থেকে কখনোই আপনার মুক্তি মিলবে না;

কাউকে বিনা কারণে অ'ন্যায়ভাবে আ'ঘাত করলে, কারো সাথে বে'ঈমানী কিংবা প্র'তারণা করলে  সাময়িকভাবে আপনি নিঃসন্দেহে ভালো থাকবেন, তবে বেশি দিন ভালো থাকবেন না, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তো কখনোই নয়, আর ওপারের কথাটা না হয় না-ই বা বললাম;

বিশ্বাস ভাঙ্গার প্রতিযোগিতায় আপনি খুব দক্ষতার সহিত কারো বিশ্বাস ভা'ঙ্গছেন? আপনার দেওয়া দুঃ'খ - ক'ষ্টে প্রার্থনায় বসেও কেউ চোখের জল ফেলছে?
প্রস্তুত থাকুন আজ না হয় কাল আপনার বিশ্বাসও কেউ না কেউ ভা'ঙ্গ'বে, আপনার চোখের জলও কেউ না কেউ ফেলবে, ইচ্ছেকৃত ভাবে আপনি কারো ক্ষ'তিসাধন করলে আপনার ক্ষ'তিও কোনো না কোনো ভাবে হবেই, অন্যের দূ'র্বলতা, সরলতা কিংবা ভালোবাসার সুযোগ নিয়ে আপনি যা যা অ'ন্যায় করবেন, গোলাকার এই পৃথিবীতে ঘুরে ফিরে তার সবটাই ফিরে পাবেন, শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র;

আপনার অ'ন্যায়, অ'ত্যাচার, অ'বিচার, ব্য'ভিচার, অ'প'কর্ম, প্র'তারণা, ঠ'কানো, বে'ঈমানী
সব কিছু আপনি ভুলে যেতে পারেন, যার সাথে করেছেন সেও হয়তো কোনো দিন ভুলে যেতে পারে কিন্তু! প্রকৃতি কখনোই কোনো কিছু ভুলে না, তাই আপনার কর্ম ভালো হোক বা মন্দ! প্রকৃতি আপনাকে সেভাবেই সবটা ফিরিয়ে দিবে, ভালো কর্ম করলে ভালো, আর মন্দ কর্ম করলে মন্দ, সে যাইহোক না কেনো, তবে ফিরিয়ে আপনাকে অবশ্যই দিবে;

মনে রাখবেন! গোলাকার এই পৃথিবীতে ভালো মন্দ সব কিছুই ঘুরে ফিরে ফিরে আসে, মানুষের হিসাবে ভুল হলেও প্রকৃতির হিসাবে কখনোই ভুল হয় না, প্রকৃতি তার নিজস্বতায় সব কিছুর হিসাব খুব পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবেই রাখে, প্রকৃতি যে হিসাবে বড্ড পাকা, কর্মফল ভোগ না করিয়ে কখনো কাউকে ছাড়ে না;

জানেন তো?  ইংরেজিতে Revenge of Nature বলে একটা কথা আছে! বাংলায় যাকে প্রকৃতির প্রতিশোধ বলে, কিন্তু! আমরা যখন ঠকে গিয়ে ঠকবাজ, প্রতারক, বেঈমান, বিশ্বাসঘাতক ও চরিত্রহীন মানুষ গুলোকে ভালো থাকতে দেখি, তাও আবার দিনের পর দিন, বছরের পর বছর কিংবা যুগের পর যুগ ধরে, তখন আমরা বলি-- Revenge of Nature বলে কিচ্ছু হয় না, কিচ্ছু না, ওটা শুধুমাত্র সান্ত্বনার বাণী, কিন্তু না, মোটেও তা ঠিক নয়, এগুলো আসলে আমাদের আঘাতে আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাওয়া অশান্ত মনের অশ্রুকণা;

আসল কথা হচ্ছে -- আপনি সবাইকে ফাঁকি দিতে পারলেও প্রকৃতিকে কখনোই ফাঁকি দিতে পারবেন না, সবাই আপনাকে ছেড়ে দিলেও প্রকৃতি কখনোই আপনাকে ছেড়ে দিবে না, মনে রাখবেন! মানুষ যা পারে না প্রকৃতি তা খুব ভালো ভাবেই পারে, মানুষ যে হিসাব মিলাতে পারে না বলে, হিসাব খানি অপূর্ণ রয়ে যায়, প্রকৃতি সে হিসাব সময় মত কড়ায়গণ্ডায় মিলায়, মানুষ যে বিচারের ভার সৃষ্টিকর্তার হাতে ছেড়ে দিয়ে নীরবে নিভৃতে চোখের জল ফেলে সব সহ্য করে যায়, প্রকৃতি সে বিচারের সাজা এই দুনিয়াতেই ভো'গ করিয়ে নিয়ে যায়;

কাউকে অন্যায়ভাবে আ'ঘা'ত করা ছাড়ুন, ঠ'কিয়ে লাভবান হওয়ার চিন্তা বাদ দিন, প্র'তা'র'ণা করার মানসিকতার জলাঞ্জলি দিন, জীবনে এমন ভাবে বাঁচুন যেন আপনার দ্বারা কখনোই কারো ক্ষ'তি না হয়, আপনি যেন কখনো কারো দী'র্ঘ'শ্বা'সে'র কারণ না হন, জানেন তো? মানুষের দী'র্ঘ'শ্বা'স ভীষণ ভ'য়ং'ক'র, কারো দী'র্ঘ'শ্বা'সে'র কারণ হয়েছেন তো আপনার শা'স্তি অনিবার্য, তাই! জীবনে আর কাউকে পরোয়া করুন আর না করুন সৃষ্টিকর্তাকে পরোয়া করুন, মনে রাখবেন! তিনি ছা'ড় দিলেও ছে'ড়ে দেন না কখনো.!✍️ প্রতিচ্ছবি 


 নতুন বছরের 'রেজোলিউশন' অনেকে শুরু করে। কিন্তু শেষ করা তো দূরে থাক, পুরোটা এক সপ্তাহও চালিয়ে নিয়ে যেতে পারে না। সব এলোমেলো হয়ে পড়ে তিন-চার দিনের মধ্যেই।


ভেবে দেখলে বুঝবে, এর মূল কারণ দু'টো। 


এক, রেজোলিউশনে এমন সব কঠিন এবং অবাস্তব টাইমটেবিল বা কাজ সেট করা হয়, যা একজন মানুষের পক্ষে তীব্র কোনো তাগিদ ছাড়াই বেশিদিন টেনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। চাপ পড়ে শরীরে, মনে এবং অনেকক্ষেত্রেই ঘুমে। 


আর দুই, আর যদি কেউ নিষ্ঠাবানের অধ্যবসায় এটা নিশ্চিত করেও যে সে তার রেজোলিউশন পুরোটা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলবে, সেক্ষেত্রে বছর শুরুর প্রথম দিন থেকেই তার পক্ষে সম্পূর্ণ নতুন নিয়মে জীবনকে টেনে নিয়ে যেতে অসম্ভব প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়। কারণ তার অভ্যাস নেই। আর এই দীর্ঘ অনভ্যাসের শেষে হঠাৎ করেই একদিন সকালে থেকে নতুন অভ্যাস কাঁটায় কাঁটায় মেনে চলা দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।


ওপরের এই দুই ক্ষেত্রেই সে তখন "কাল থেকে ঠিক করব" নামক কোনোদিন না করে ওঠার দিকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হয়। জীবন আবার বছরের গোড়া থেকেই এলোমেলো হয়ে পড়ে।


যদি চাও এমনটা ২০২৫-এর গোড়া থেকে নাহয় এবং তুমি তোমার রেজোলিউশন মোটের ওপর সারাটা বছর ঠিকঠাক মেনে চলতে পারো, তাহলে জাস্ট দু'টো কাজ করো। 


এক, একদম ছোট ছোট প্ল্যানে/কাজে তোমার দিনগুলো ভাগ করো, যাতে অতিরিক্ত চাপ না নিতে হয়। যাতে তোমার নিজের জন্যও যেন প্রত্যেকদিন একটা বরাদ্দ সময় থাকে। তোমার পরিকল্পনা হোক বাস্তব সম্মত এবং তোমার ব্যক্তিগত জীবনের অনুসারি।


দুই, যে প্ল্যান তুমি বানাচ্ছো, সেটা কতটা মেনে চলতে পারছো, তার ট্রায়াল অ্যান্ড এরর টেস্ট দিয়ে দাও। পারলে বারবার দাও। এতে তুমি নতুন প্ল্যানের সঙ্গে অভ্যস্ত তো হবেই সঙ্গে এটাও বুঝে নিতে পারবে যে প্ল্যানটা অনুসরণ করতে তোমায় কোথায় কোথায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এবং কি কি পরিবর্তন করলে তুমি সাবলীলভাবে সেই পরিকল্পনাটাকে দীর্ঘদিন চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। 


২০২৪ -টা অনেকের কাছ থেকেই অনেক কিছু ছিনিয়ে নিয়েছে। আর অপচয় তুমি করতে পারো না। এবার তোমার ঘুরে দাঁড়াবার পালা। বছরটা শেষ হবার ঠিক আগেও এই লেখাটা দিতে পারতাম। কিন্তু তাতে নিজেকে সামলে নেবার সময় পেতে না। 


নতুন বছর আসতে এখনো ৫৫ দিন বাকি। এখন থেকেই তাই দেখে নাও তোমাকে কোথায় পৌঁছাতে হবে আর তুমি এখন কোথায় দাঁড়িয়ে। এর সেই অনুসারে নিজেকে একটা নতুন ড্রাফ্ট রেজোলিউশনের সঙ্গে অভ্যস্ত করো, ভেঙেচুরে নাও, যাতে ১লা জানুয়ারি, ২০২৫ থেকেই তুমি তোমার ১০০% দিয়ে নিজেকে গড়ার কাজে লেগে পড়তে পারো।


তোমাদের সবার ভালো হোক!


বি.দ্র : পারলে শেয়ার করে দিও যাতে তোমাদের মতো অনেকে যারা জীবনে ছড়িয়ে পড়ছে, তারাও পেরিয়ে যেতে পারে।


লেগে থাকো। জেদে থাকো।

Thursday, November 7, 2024

 সফল হতে চান?

২৭ বছর বয়সে যখন হন্যে হয়ে ব্যাংকে চাকরি খুঁজছেন,তখন আপনারই বয়েসি কেউ একজন সেই ব্যাংকেরই ম্যানেজার হয়ে বসে আছেন। আপনার ক্যারিয়ার যখন শুরুই হয়নি, তখন কেউ কেউ নিজের টাকায় কেনা দামি গাড়ি হাঁকিয়ে আপনার সামনে দিয়েই চলে যাচ্ছে। 


প্রথমেই আসে পরিশ্রমের ব্যাপারটা:

যারা আপনার চাইতে এগিয়ে, তারা আপনার চাইতে

বেশি পরিশ্রমী। এটা মেনে নিন। ঘুমানোর আনন্দ আর ভোর দেখার আনন্দ একসাথে পাওয়া যায় না।

শুধু পরিশ্রম করলেই সব হয় না। তা-ই যদি হত,তবে গাধা হত বনের রাজা। শুধু পরিশ্রম করা নয়, এর পুরস্কার পাওয়াটাই বড় কথা। only your results are rewarded, not your efforts!


আপনি এক্সট্রা আওয়ার না খাটলে এক্সট্রা মাইল এগিয়ে থাকবেন কীভাবে? সবার দিনই তো ২৪ ঘণ্টায়। আমার বন্ধুকে দেখেছি, অন্যরা যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন সে রাত জেগে আউটসোর্সিং করে। ও রাত জাগার সুবিধা তো পাবেই!


আপনি বাড়তি কী করলেন, সেটাই ঠিক করে দেবে, আপনি বাড়তি কী পাবেন। আপনি ভিন্ন কিছু করতে না পারলে ভিন্ন কিছু পাবেন না। বিল গেটস রাতারাতি বিল গেটস হননি। শুধু ইউনিভার্সিটি ড্রপআউট হলেই স্টিভ জবস কিংবা জুকারবার্গ হওয়া যায় না।


আউটলায়ার্স বইটি পড়ে দেখুন। বড় মানুষের বড় প্রস্তুতি থাকে। নজরুলের প্রবন্ধ গুলো পড়লে বুঝতে পারবেন, উনি কতটা স্বশিক্ষিত ছিলেন। শুধু রুটির দোকানে চাকরিতেই নজরুল হওয়া যায় না। কিংবা স্কুল কলেজে না গেলেই রবীন্দ্রনাথ হয়ে যাওয়া যাবে না। সবাই তো বই বাঁধাইয়ের দোকানে চাকরি করে মাইকেল ফ্যারাডে হতে পারে না, বেশিরভাগই তো সারাজীবন বই বাঁধাই করেই কাটিয়ে দেয়।


স্টুডেন্ট লাইফে কে কী বলল, সেটা নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। যে ছেলেটা প্রোগ্রামিং করতেই পারত না, সে এখন একটা সফটওয়্যার ফার্মের মালিক। যাকে নিয়ে কেউ কোনদিন স্বপ্ন দেখেনি, সে এখন হাজার হাজার মানুষকে স্বপ্ন দেখতে শেখায়। কেরিয়ার নিয়ে যার তেমন কোন ভাবনা ছিল না, সে সবার আগে পিএইচডি করতে আমেরিকায় গেছে। সব পরীক্ষায় মহা উৎসাহে ফেল করা ছেলেটি এখন একজন সফল ব্যবসায়ী। আপনি কী পারেন,কী পারেন না, এটা অন্য কাউকে ঠিক করে দিতে দেবেন না।


সরকারী ইউনিভার্সিটিতে চান্স পাননি? প্রাইভেটে পড়ছেন? সবাই বলছে, আপনার লাইফটা শেষ? আমি বলি, আরে! আপনার লাইফ তো এখনো শুরুই হয়নি। আপনি কতদূর যাবেন, এটা ঠিক করে দেয়ার অন্যরা কে? লাইফটা কি ওদের নাকি? আপনাকে ডাক্তার- ইঞ্জিনিয়ার হতেই হবে কেন? যেখানেই পড়াশোনা করেন না কেন, আপনার এগিয়ে যাওয়া নির্ভর করে আপনার নিজের উপর।


একদিন আপনাকে পৃথিবীর পথে নামতে হবে। তখন আপনাকে যা যা করতে হবে, সেসব কাজ এখনই করা শুরু করুন। জীবনে বড় হতে হলে কিছু ভাল বই পড়তে হয়, কিছু ভাল মুভি দেখতে হয়, কিছু ভাল মিউজিক শুনতে হয়, কিছু ভাল জায়গায় ঘুরতে হয়, কিছু ভাল মানুষের সাথে কথা বলতে হয়, কিছু ভাল কাজ করতে হয়। জীবনটা শুধু হাহাহিহি করে কাটিয়ে দেয়ার জন্য নয়। একদিন যখন জীবনের মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে, তখন দেখবেন, পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে, মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ছে। স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য সময় দিতে হয়। এসব একদিনে কিংবা রাতারাতি হয় না। নিজের কমফোর্ট জোন থেকে আগে বের হয়ে আসুন। 


আপনি যখন স্কুল কলেজে পড়তেন, তখন যে সময়ে আপনার ফার্স্ট বয় বন্ধুটি পড়ার টেবিলে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকত, সে সময়ে আপনি তাকে দেখে হাসতেন। এখন সময় এসেছে, সে এখন আপনাকে দেখে হাসবে, আর আপনি থাকবেন পড়ার টেবিলে।


জীবনটাকে যে সময়ে চাবুক মারতে হয়, সে সময়ে জীবনটাকে উপভোগ করলেন, যে সময়ে জীবনটাকে উপভোগ করার কথা, সে সময়ে জীবনটাকে উপভোগ করতে পারবেন না, এটাই স্বাভাবিক। এটা মেনে নিন।

মেনে নিতে না পারলে ঘুরে দাঁড়ান। এখনই সময়! কষ্ট করুন, লক্ষ্য ঠিক রাখুন, ব্যর্থ হবেন কিন্তু থামবেন না, এগিয়ে যান- ১০০০ বার ব্যর্থ হলে তা থেকে ১০০০ টা শিক্ষা নিন, তারপর সফলতা পান।


 মেন্টালি স্ট্রং হতে চাইলে অযাচিত আগ্রহ কমিয়ে দিন।মেপে চলুন। কেউ যদি বলে 'বেশি কথা বলে', তবে তার সাথে কথা বলা কমিয়ে দিন।যখন বুঝবেন আপনার সব অভিযোগ আপনার বিপরীতেই যাবে, আপনার কথা অন্যের কাছে কেবলমাত্র শব্দ দূষণ তখন শুধু শুনুন।বলতে চাইবেন না।

কথা বলতে চাওয়া ,দেখা করতে চাওয়ার যে তেষ্টা; তা একবার পার করে ফেললেই জীবনটা অনেক অন্যরকম হয়ে যায়। ভয়ঙ্কর কথা বলার ইচ্ছেরা গলাকে আঁকড়ে ধরে না।

একসাথে পথ চলার ইচ্ছের দায় যে আপনার একার নয় এটা বুঝে গেলেই ঘ্যানঘেনে ভাবটা চলে যাবে।

 "তাকে ভালোবাসি কিন্ত একসাথে যাপন চাই না" কারো প্রতি এইরকমভাবে আগ্রহ চলে যাবার মতো কঠিন আর কিছু নেই। আগ্রহ চলে গেলেই, "হলেই হলো" এমন একটা ভাব নিয়ে দিব্য ঘুরে বেড়ানো যায়। কে কি বলল, কে কি ভাবলো এগুলো নিয়ে বিরাট রকমের মাথাব্যথা আর হয় না। মনে হয়, যে যেটা জানে জানুক। সমস্যা নেই। কেউ আমার লাইফটা লিড করছে না। 


অন্যের কাছে গুড ভাইভস্ বজায় রাখার জন্য মানুষ অনেক কিছু হারিয়ে ফেলে। এমনকি গুড ভাইভস্ বজায় রাখতে রাখতে অনেকে মাঝবয়সে এসে জীবন অবধি হারিয়ে ফেলে।


আর যারা জীবন হারায়নি, তারা নিজেকে গুছিয়ে নেবার অদম্য প্রয়াস করতে করতে হাঁপিয়ে গিয়েও হাল ছাড়েনা। 

নিজের মধ্যে প্রচন্ড পজিটিভিটি আনতে আনতে একটা সময় টের পাবেন আপনার চারপাশটা নেগেটিভিটিতে ভরে গেছে। পজেটিভ মানুষ যেমন দেখতে সুন্দর তেমনই তার স্ট্রাগেল বেশি।


"অনুভূতি দিয়ে কিছু হয় না। মনের ভাব প্রকাশের জন্য শব্দ প্রয়োজন, বাক্য প্রয়োজন।" ছোটোবেলার পড়া এই সহজ ব্যাকরণ টা এইবারে আয়ত্ব করে নিন। ঝগড়াঝাটির স্কিলটা নিজে থেকেই কমিয়ে দিন। শব্দ-বাক্যের ঘনঘটা কমে আসলে মন খারাপগুলো থিঁতিয়ে যায়।

নিজের কাছে পরাজিত হয়ে আবার উঠে দাঁড়াতে পারলে দেখবেন এই উঠে দাঁড়ানোটা ভয়ঙ্কর শক্ত ।  এর মধ্যে ছিঁটেফোঁটা বাড়তি ইমোশন থাকবে না।


যেখানে আপনি গুরুত্ব পাচ্ছেন না সেখান থেকে চুপচাপ সরে আসুন। ঈগলের মতো সাহস করে সম্পর্কের সুতো গুলো এক এক করে নিজেই ছিঁড়ে ফেলুন। কোনো মেকি বাঁধন রাখবেন না। যে কাজটা করতে যাচ্ছেন তাতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাবেন জেনেও করুন একটা সুন্দর ভবিষ্যতের দায়ে। নিজের শান্তি বজায় রাখার জন্য একপ্রকার মরিয়া হয়ে উঠুন।

Wednesday, November 6, 2024


 মাস্টার্স পাশ করা ২৬/২৭ বছর বয়সী একজন যুবক-যুবতীকে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরিতে যোগদান করতে হয়। আর পড়ালেখা না জানা ১০, ১২ বছর বয়সী একজন বাস হেল্পার এর দৈনিক হাজিরা প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, যা মাস শেষে ১৪, ১৫ হাজার টাকা হয়।


কেউ কোন ফ্যাক্টরীতে ২০ বছর কাজ করলে তার বেতন হয় ৫০হাজার টাকা, আর ২০ বছর পড়ালেখা করে যখন চাকরির জন্য যায়, তখন তার বেতন হয় ১০ হাজার টাকা। তাহলে আমরা কোথায় যাবো? স্কুলে না ফ্যাক্টরীতে?


হাজার হাজার - লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে পড়ালেখা করে আজ শিক্ষিত মানুষগুলো পরিবারের, সমাজের এবং সবার কাছে অবহেলিত। রাষ্ট্র পড়ালেখা করার জন্য টাকা নিতে পারে। কিন্তু পড়ালেখা শেষ করার পর টাকা ফিরিয়ে দিতে পারেনা!


অনেকেই বলবে ভাল করে পড়ালেখা করলে, ভাল রেজাল্ট করলে ভাল চাকুরী পাওয়া যায়। আসলেই কি পাওয়া যায়? নাকি মোটা অংকের Donation দিতে হয়?


ভাল রেজাল্ট না করলে পাশ দেওয়া হয় কেন? রাষ্ট্র যদি শিক্ষিত মানুষের চাকুরী দিতে না পারে তাহলে রাষ্ট্রের উচিত স্কুল, কলেজ ও বিশ্ব বিদ্যালয়গুলো বন্ধ করে দেয়া। তাহলে সন্তানদের পড়ালেখার জন্য বাবা মায়ের এতো কষ্ট করতে হতো না। টাকা গুলো সঞ্চয় হতো।


চাকরির অভাবে পরিপক্ক হওয়া ছেলেটা ২৮ বছরেও বিয়ে করতে পারে না।অন্যদিকে বয়স বাড়তে থাকা অবিবাহিত মেয়েটাও মুখ ফুটে কিছু বলতে পারে না। না পারছে তারা উপযুক্ত ছেলেকে বিয়ে করতে, না পারছে পাড়া-পড়শির খোটা সহ্য করতে। শুধু এক বুক নিঃশ্বাস ফেলে আফসোস করছে- এ দেশে জন্ম নেয়ার জন্য।


আমাদের অবস্থা আজ এমন দাঁড়িয়েছে যে, যেন গাধার দিকে তাকালে দেখতে পাই নিজের প্রতিচ্ছবি।


©

#collected


 "অমুক মাছ কেটে দিনে দশ হাজার কামাচ্ছে"

"লাউয়ের বাগান করে কোটিপতি"

"চাকরি ছেড়ে গোবর আর কেচো নাড়াচাড়া"

এসব গল্প এখন অনেকেই শোনায়। 


তরুণদের জন্য, এই ফাঁদে পড়বেন না। একদম নিজের চোখে দেখা অভিজ্ঞতা। আমাদের বয়সী একজন, ওয়েল পেইড জব ছেড়ে এইসব কুইক ক্যাশের নেশায় পড়ে গেলো। এখন হাউমাউ করে মরছে। 


১। আপনি যা-ই করেন, সেটার এক্সপান্ডিবিলিটি থাকতে হবে। ধরুন, একজন রিকশাওয়ালা, সে ডিসেন্ট আয় করে, এন্ট্রি লেভেল চাকরিজীবীর চেয়ে বেশী। রিকশাওয়ালা ৩০ হাজার কামায় আর জবে নতুন হলে ১৫ হাজার বেতন - সবাই আপনাকে এটুকুই বলবে। 


এবার পরের হিসাবটা, ধরুন ওই রিকশাওয়ালা তার ইনকাম ডাবল করতে চায়, বা ইভেন বাড়াতে চায়। তার জন্য একমাত্র অপশন রিকশা চালানোর সময় বাড়িয়ে দেওয়া। ডাবল করতে চাইলে তাকে ১০ ঘন্টার জায়গায় ২০ ঘণ্টা রিকশা চালাতে হবে। এটা কী ফিজিকালি পসিবল? সাথে বৃষ্টি, রোদ, ছুটির দিনে কাজে না গেলে আয় নেই। 

বা যে মাছ কাটছে তাকে ডাবল মাছ কাটতে হবে।


কিন্তু এন্ট্রি লেভেলের জবে ৪/৫ বছরে বেতন ডাবল হয়ে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক, কোনো অতিরিক্ত ঘন্টা না বাড়িয়েই। 


২। আপনি যে কাজটা করতে চান সেটা তো ভালো লাগতে হবে। ফেসবুকের এক লাইকখোরের লেখা পড়ে আপনি সিদ্ধান্ত নিলেন বাজারে বসে মাছ কাটবেন, চাকরীর ডাবল ইনকাম। ভেবে দেখুন, আগামী ত্রিশ বছর আপনি বটি ঘাড়ে করে মাছবাজারে গিয়ে নোংরা জলের মধ্যে বসে মাছ নাড়াচাড়া করতে রাজি আছেন কিনা। 


৩। লাইফস্টাইলের ব্যপার রয়েছে। আপনার যখন তেমন ইনকাম ছিলো না আপনি বাইক চালাতেন। সামনে টাকা হবে, গাড়ী কিনবেন। কিন্তু এসব কাজে তার কাজ কী? গাড়ী চালিয়ে কি আপনি ঝালমুড়ি বেচতে যাবেন? 


৪। চাকরিজীবি বা ডিসেন্ট লেভেলের উদ্যোক্তা হলে আপনি তার সাথে একটা লাইফস্টাইল আর নেটওয়ার্ক বাই ডিফল্ট পাবেন। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ধরুণ, আপনি একটা স্টেশনারি কোম্পানির মার্কেটিংয়ে জব করেন। আপনি আজ এই ভার্সিটিতে, কাল ওই ঝকঝকে অফিসে বিটুবি ডিল করতে যাবেন। কত হাই স্কিল লোকের সাথে পরিচিতি হবে, কন্টাক্ট বিনিময় হবে। 


কিন্তু আপনি টাকা দেখে রাস্তায় ঝুড়ি নিয়ে দাড়ালেন। আপনার নেটওয়ার্ক হবে পাশের বাদামওয়ালা, গান গাওয়া ভিক্ষুক। ওই বাদামওয়ালার এই মুহুর্তের সবচেয়ে বড় চিন্তা সে কতক্ষণে সব বিক্রি করে ঘরে যাবে। আগামীকালও সে একই কাজ করবে। আপনার মত তার অ্যাম্বিশন নেই, বড় কিছু করার ইচ্ছে নেই, দেশ-মানুষের উপকারে আসার খায়েশ নেই। 


মনে রাখবেন, Your network is your net-worth


 ৫। আর এইসব পেশায় যে খুব বেশী ইনকাম হয় তাও কিন্তু না। শিরোনামে লেখা 'চাকরি ছেড়ে লাউ চাষে লাখপতি'। ভিতরে লিখেছে এক বছরে তার আয় তিন লাখ টাকা। মানে ওই লোক মাসে ২৫,০০০ টাকা কামায়, সেটা আবার নিউজ! 


তাই এইসব ভুয়া মোটিভেশনের ফাঁদে পড়বেন না। প্রতিবছর নিউজ মিডিয়াগুলো নিজেদের স্বার্থেই এরকম নিউজ করে। গত পাঁচ বছরে তো নিউজ কম দেখেন নি, আইফোন হাতে বাদামওয়ালা, ডিএসএলআর হাতে খিচুড়ি বিক্রেতা। প্রশ্ন হলো তারা এখন কোথায়? তারা এখনো কেন সেই রাস্তায় বসছে না আর ওরকম আয় করছে না? তাহলে এগুলো রিলায়েবল পেশা হয় কিভাবে? 


 কোন কাজই ছোট নয়। কিন্তু সব কাজই যে আপনার ফিল্ড, তা-ও নয়। 

আপনার কাছে খুব ভালো একটা প্লান আছে, কিন্তু পঞ্চাশ হাজার টাকার জন্য আপনি এগোতে পারছেন না। এখন আপনি যদি মাছ কুটে, বাদাম বেঁচে ওই পঞ্চাশ হাজার টাকা জোগাড় করে ফেলতে পারেন, তাহলে সেটা ঠিক আছে। কিন্তু যেভাবে এসব পেশাকে সরাসরি একটা ওয়েল পেইড জবের বিকল্প হিসেবে দেখানো হচ্ছে, তা মোটেও রিয়েলিস্টিক নয়।


 বিল গেটসের সাফল্যের মূল মন্ত্র

মায়ের দেওয়া ৩টি উপদেশ ✍️


      বিল গেটস তখন বয়সে অনেক ছোট স্কুল থেকে বাসায় ফিরেছেন সবে। সেদিন পরীক্ষার ফলাফল দিয়েছে, মা জানতেন। তিনি ঘরে পা রাখতেই সামনে দাঁড়িয়ে মা! “বাবা, গণিত পরীক্ষায় কতো নাম্বার পেয়েছিস?”গেটস মাকে তার নাম্বার বললেন। মা খুশি হয়ে বললেন, “বাহ! এতো ভাল নাম্বার তোর ক্লাসে আর কয়জন পেয়েছে?”

“আমি একাই পেয়েছি মা!”

“বেশ বেশ! আমি অনেক খুশি হয়েছি যে তুই একাই এই নাম্বার পেয়েছিস। তুই দশ–বিশ, চল্লিশ–পঞ্চাশ এমনকি আশি–নব্বই পেলেও আমি রাগ করতাম। কিন্তু তুই একদম শূন্য পেয়েছিস! (বিশ্বাস হয় বিল গেটস গনিতে ০ পেয়েছিল)


       এবার নতুন করে এই শূন্য থেকেই শুরু কর সবকিছু। তবে তোর জন্য মায়ের তিনটি উপদেশ রইলো–


   🚩প্রচুর বই পড়বি। ক্লাসের পড়ার বাইরেও বিশাল একটি জগত রয়েছে। সেগুলো সম্পর্কে বেশি করে জানবি, বেশি করে পড়বি। আর নতুন নতুন সব বিষয়ের বই পড়বি, যেগুলো সচরাচর অন্যরা পড়ে না।


     🚩তুই যেরকম চিন্তা করবি, তোর জীবন সেভাবেই গড়ে উঠবে। তাই সবসময় স্রোতের বাইরে চিন্তা করবি। সবার মতো হুজুগের পেছনে ছুটবি না। কখনো ছোট চিন্তা করবি না। অনেক বড় বড় স্বপ্ন দেখবি, এতো বড় যেন নিজের কাছেই অসম্ভব লাগে,অন্যদের কাছে সে স্বপ্নের কথা বলতে ভয় হয়!


      🚩. জীবনে এমন কাজ করবি যা অন্য কেউ করছে না। বেশিরভাগ মানুষ ঘুরেফিরে প্রতিষ্ঠিত কিছু পথেই ক্যারিয়ার গড়ে তোলে, কেউ ঝুঁকি নিতে চায় না। তুই সবার চেয়ে ভিন্ন পথে হাঁটবি, ভিন্ন কাজ করবি। তুই নিজেই পথ তৈরি করবি, মানুষকে স্বপ্ন দেখাবি।


       🚩সময় তখন ১৯৬৩ সাল। বিল গেটসের বয়স তখন আট বছর। তার মা স্কুল শিক্ষিকা মেরি ম্যাক্সওয়েল গেটস তাঁকে যখন এই উপদেশ তিনটি দিলেন তখন কেউ চিন্তাও করেনি এই তিনটি উপদেশ কীভাবে বিল গেটসের জীবনে অক্ষরে অক্ষরে সত্যি হবে একদিন, বিপ্লব বয়ে আনবে পৃথিবীজুড়ে, স্রোতের বাইরে গিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখাতে শেখাবে কোটি কোটি মানুষকে!

©

 #BillGates

#education #সংগৃহীত #highlight #stories #trend #inspiration #Educational #Respect

Tuesday, November 5, 2024


ইদানিং মানুষ ---

আত্মসম্মানের নামে ইগো বাড়িয়ে নিচ্ছে, 

সহজ থেকে ক্রমশঃ কঠিন হয়ে উঠছে। 

আবেগ লুকাতে গিয়ে প্রিয় মানুষ হারাচ্ছে, 

কষ্ট পাচ্ছে কিন্তু কাঁদতে পারছে না। কারণ সেল্ফ রেসপেক্ট নয়, ইগোতে আটকে যাচ্ছে। 

ব্যাক্তিত্ব দেখাতে গিয়ে অহংকারী হচ্ছে, একটার বেশি দুটো কথা নেই তাই নিজেই নিজেকে একটা শক্ত খোলের মধ্যে বন্ধ করে ফেলছে।

স্মার্ট হতে গিয়ে অশ্লীল হচ্ছে, সহবৎ- সংস্কৃতি-রুচি-আচার-নিয়ম- শালীনতা সবকিছুকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যুগেরও আগে এগিয়ে থাকার চেষ্টায় অহেতুক মরীচিকায় ফাঁসছে। 

স্ট্রেইট ফরওয়ার্ড সাজতে গিয়ে অভদ্র হচ্ছে,

 উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে নিজেকে শিক্ষিত দাবী করছে। আদপে ভিত্তিহীন যুক্তিহীন অশিক্ষিত হয়ে থাকছে।

দশ টাকা রোজগারের যোগ্যতা তৈরী হওয়ার আগেই হাতে দশ হাজার টাকা এসে যাওয়ায় নিজেকে ধনকুবের ভেবে নেওয়া মানুষ আসলে ফানুসে পরিণত হচ্ছে।।

এতো কিছু হতে থাকলে কী আর মানুষ হয়ে ওঠা হয়?? মানুষের মতো দেখতেই হয়.... দিনশেষে 'মানুষ' হতেই ভুলে যায়। অন্যের সাথে বাদ-ই থাক...কাম-ক্রোধ-লোভ-ঈর্ষা-মদ-মাৎসর্যে মত্ত উন্মত্ত দু-পেয়ো প্রাণীগুলো নিজেকে নিজেই চেনে না-বোঝে না-জানে না ধরণের অপাংক্তেয় অমানুষ হয়েই প্রমাণ করে।

 তাই তো এখন মানুষের ভীড়ে 'মানুষ' মেলে না সহজে।।


ওয়াল্টার আইজাকসনের লেখা “ইলন মাস্ক” বইটি থেকে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা:


১. মহৎ লক্ষ্যকে অনুসরণ করুন: ইলন মাস্কের কাজকর্ম একটি বৃহৎ লক্ষ্য দ্বারা পরিচালিত হয়, যা পৃথক প্রকল্পের সীমা ছাড়িয়ে যায়। মানবজাতিকে বহুগ্রহবাসী করা তাঁর লক্ষ্য, যা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার শক্তি প্রদর্শন করে এবং তাঁর সিদ্ধান্ত ও কাজকে নির্দেশনা দেয়।


২. ঝুঁকি ও ব্যর্থতাকে আলিঙ্গন করুন: মাস্কের ক্যারিয়ারে সাহসী ঝুঁকি এবং প্রচুর ব্যর্থতার ছাপ রয়েছে। তিনি ব্যর্থতাকে এড়িয়ে না গিয়ে তা থেকে শেখার সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেন, যা প্রমাণ করে যে বড় উদ্ভাবনের জন্য ঝুঁকি নেওয়া এবং প্রতিকূলতার মুখে স্থিতিস্থাপক থাকা প্রয়োজন।


৩. কঠোর পরিশ্রম অপরিহার্য: মাস্কের কঠোর পরিশ্রমের নীতি বিখ্যাত। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করেন এবং তাঁর দলের কাছ থেকেও একই ধরনের প্রতিশ্রুতি আশা করেন। এই শ্রমনিষ্ঠা তাঁকে চ্যালেঞ্জিং ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে সফল হওয়ার পেছনের বড় চালিকা শক্তি।


৪. বড় চিন্তা করুন, ছোট থেকে শুরু করুন: মাস্কের লক্ষ্য সাধারণত বিশাল, তবে তিনি বুঝতে পারেন যে ছোট থেকে শুরু করা এবং ধীরে ধীরে বৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ। বড় চ্যালেঞ্জগুলোকে ছোট ছোট ধাপে ভেঙে নিয়ে, তিনি এবং তাঁর দল ধারাবাহিকভাবে অগ্রসর হন।


৫. অবিরাম উদ্ভাবন করুন: মাস্কের কাজের কেন্দ্রে রয়েছে অব্যাহত উদ্ভাবন। টেসলার বৈদ্যুতিক গাড়ি বা স্পেসএক্সের পুনঃব্যবহারযোগ্য রকেটের মতো প্রকল্পগুলোতে মাস্ক দেখান যে অগ্রগামী হতে হলে আপনাকে সবসময় উদ্ভাবনী হতে হবে এবং সম্ভবের সীমানা প্রসারিত করতে হবে।


৬. লক্ষ্য নিয়ে তৈরি করুন: মাস্কের প্রকল্পগুলো, যেমন টেসলা, স্পেসএক্স বা নিউরালিঙ্ক, শুধুমাত্র ব্যবসা নয়; এগুলো বৈশ্বিক সমস্যাগুলোর সমাধান খুঁজে পাওয়ার উদ্দেশ্যে চালিত। এই লক্ষ্য তাঁর দলের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী প্রতিশ্রুতি ও শ্রেষ্ঠ প্রতিভা আকর্ষণ করে।


৭. স্থিতিস্থাপকতা ও সহনশীলতা গড়ে তুলুন: মাস্ক অনেক ব্যক্তিগত ও পেশাগত সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছেন, তবুও তিনি বারবার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। চরম চাপের মধ্যেও মনোযোগ ধরে রাখা ও প্রেরণা বজায় রাখার তাঁর ক্ষমতা কঠিন সময়ে দৃঢ় থাকার গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দেয়।


৮. প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করুন: মাস্ক প্রায়ই প্রচলিত ধ্যান-ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেন এবং বিদ্যমান পদ্ধতিগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন। স্বাধীনভাবে চিন্তা করার মাধ্যমে এবং সীমাবদ্ধতাকে মেনে না নিয়ে, তিনি একাধিক ইন্ডাস্ট্রি বিপ্লবিত করেছেন এবং সম্পূর্ণ নতুন ব্যবসায়িক মডেল তৈরি করেছেন।


৯. প্রতিভাবান ব্যক্তিদের সঙ্গে থাকুন: মাস্ক বোঝেন যে মেধাবী এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দল থাকা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি সেরা প্রকৌশলী, চিন্তক এবং কর্মীদের খুঁজে বের করেন, কারণ অসাধারণ ফলাফল অর্জনের জন্য শ্রেষ্ঠ মানুষদের সঙ্গে কাজ করাটা অপরিহার্য।


১০. বিস্তারিত বিষয়ে আগ্রহী থাকুন: মাস্কের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো তাঁর বিশদ বিবরণের প্রতি মনোযোগ। এটি টেসলার গাড়ির ডিজাইন হোক বা স্পেসএক্সের প্রযুক্তিগত স্পেসিফিকেশন, তিনি প্রতিটি দিকেই গভীরভাবে যুক্ত থাকেন, যাতে চূড়ান্ত পণ্য তাঁর উচ্চ মান পূরণ করে।


সংগৃহীত

Monday, November 4, 2024

সফলতার ১৬ সূত্রঃ

















সফলতার ১৬ সূত্রঃ
১. আজ থেকে পাঁচ বছর পর আপনি কোথায় যাবেন তা নির্ভর করবে এখন আপনি কী ধরনের বই পড়ছেন, কোন ধরনের মানুষের সাথে মেলামেশা করছেন সেটার উপর।
২. এডিসন বলেন, সাফল্য হলো ৯৫% কঠোর পরিশ্রম আর ৫% অনুপ্রেরণার ফল।
৩. যে ব্যক্তি পড়তে পারে কিন্তু পড়ে না আর যে ব্যক্তি পড়তে পারে না দুই-ই সমান।
৪. ফার্স্ট ইমপ্রেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কোন কথা বলার আগেই একজনের সাথে সাক্ষাত হওয়ার তিন থেকে পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যেই তার সম্পর্কে একটা ধারণা হয়ে যায়। We never get a 2nd chance to make the first impression.
৫. আপনি কী অর্জন করেছেন, সাফল্য মাপার মানদন্ড সেটা নয় বরং আপনি পড়ে যাওয়ার পর কতবার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন সেটা।
৬. পরাজয়ের ভয়, পরাজয়ের চেয়েও খারাপ।
৭. একটা পরাজয় আরো পরাজয়ের জন্ম দেয়। কারণ প্রত্যেকটা পরাজয়ের সাথে ব্যক্তি তার আত্ম-মূল্য হারিয়ে ফেলে যেটা পরবর্তী পরাজয়ের কারণ।
৮. পরাজিতরা কোন কিছু ঘটার অপেক্ষায় থাকে। তারা কখনই কোন কিছু ঘটাতে পারে না।
৯. যে সবকিছু তৈরি পাওয়ার জন্য তৈরি, সে জীবনে কিছু করতে পারে না। সফল ও ব্যর্থ উভয়ের দিনই ২৪ ঘন্টায়।
১০. NO মানে একেবারে না নয়। NO = Next Opportunity.
১১. বাহ্যিক সাফল্য আচরণের উপর নির্ভর করে। যদি আপনি নিজেকে চরিত্রবান, সাহসী, সৎ বলে বিশ্বাস করেন তাহলে এগুলো আপনার আচরণে প্রতিফলিত হবে।
১২. জয়ী হতে হলে কী কী করতে হবে বিজয়ীরা সেটার উপর গুরুত্ব দেয়। আর বিজিতরা যা যা পারে সেটার উপর গুরুত্ব দেয়।
১৩. আপনি সবসময় যা করে এসেছেন, এখনও যদি সেটাই করেন তাহলে সবসময় যা পেয়েছেন, এখনও তাই পাবেন।
১৪. সম্পর্ক তৈরি করা একটা প্রক্রিয়া, প্রচেষ্টার ফলাফল। কোন আকষ্মিক ঘটনা না।
১৫. আপনার ইচ্ছা শক্তি আপনার ভাগ্যকে নিয়ন্ত্রণ করবে।
নিয়তই নিয়তি পাল্টে দিতে পারে।

১৬. স্বপ্নপুরণে শুধু আবেগ নয় বেগ দরকার। সাথে বিনয়ী মনোভাব, শেখার তাড়না ও প্রেরনার। 

Sunday, November 3, 2024

সবচেয়ে বড় অভাগা হলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তার চার বছরের শিশু বুলবুল যে রাতে মা/ রা গিয়েছিল, সে রাতে তার পকেটে একটা কানাকড়িও ছিল না।


 







































সবচেয়ে বড় অভাগা হলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তার চার বছরের শিশু বুলবুল যে রাতে মা/ রা গিয়েছিল, সে রাতে তার পকেটে একটা কানাকড়িও ছিল না। 

অথচ কাফন,দাফন,গাড়িতে করে দেহ নেওয়া ও গোরস্থানে জমি কেনার জন্য দরকার ১৫০ টাকা, সে সময়ের ১৫০ টাকা মানে অনেক টাকা। এত টাকা কোথায় পাবে। বিভিন্ন লাইব্রেরীতে লোক পাঠানো হল। না, টাকার তেমন ব্যবস্থা হয়নি। শুধুমাত্র ডি. এম লাইব্রেরি দিয়েছিল ৩৫ টাকা। আরো অনেক টাকা বাকি। টাকা আবশ্যক।

ঘরে দেহ রেখে কবি গেলেন এক প্রকাশকের কাছে। প্রকাশক শর্ত দিল- এই মুহূর্তে কবিতা লিখে দিতে হবে। তারপর টাকা......💔


কবি মনের নীরব কান্না, যাতনা লিখে দিলেন কবিতায়.....


"ঘুমিয়ে গেছে শ্রান্ত হয়ে

আমার গানের বুলবুলি।

করুণ চোখে চেয়ে আছে

সাঝের ঝরা ফুলগুলি।।


ফুল ফুটিয়ে ভোর বেলা কে গান গেয়ে,

নীরব হ’ল কোন নিষাদের বান খেয়ে,

বনের কোলে বিলাপ করে সন্ধ্যারাণী চুল খুলি।।


কাল হতে আর ফুটবে না হায়, লতার বুকে মঞ্জরী

উঠছে পাতায় পাতায় কাহার করুণ নিশাস মর্মরী।


গানের পাখি গেছে উড়ে শূণ্য নীড়,

কন্ঠে আমার নেই যে আগের কথার ভিড়,

আলেয়ার এই আলোতে আর আসবে না কেউ কুল ভুলি।।


একজন সন্তানহারা পিতার কি নিদারুণ কষ্ট। যদিও এই মানুষটাই বাংলা সাহিত্যকে অনেক কিছু দিয়েছেন....। দেশের জন্য অনেক কিছু করেছেন, জেল খেটেছেন স্বাধীনতা সংগ্রামের পক্ষে দাঁড়িয়ে...। কিন্তু হঠাৎ করে সেই মানুষটার পিছন থেকে সবাই সরে যায়..., একেবারে ভুলে যায়....., যাদের জন্য তিনি সর্বস্ব উজাড় করে দিয়ে গেছেন....💔


তিনি আমাদের বিদ্রোহী কবি। বিনম্র শ্রদ্ধা।🙏🏼


   সংগৃহীত। #highlightsシ゚ #photochallenge @highlight

আমার মেয়ে কখনোই একজন গরিব মানুষের সঙ্গে বিয়ে করবে না!


 




































“আমার মেয়ে কখনোই একজন গরিব মানুষের সঙ্গে বিয়ে করবে না!”


বিল গেটস ব্যাখ্যা করেন কেন তিনি তার মেয়েকে একজন গরিব মানুষের সঙ্গে বিয়ে দিতে নিষেধ করেন।


“কিছু বছর আগে আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি সম্মেলনে গিয়েছিলাম যা বিনিয়োগ এবং অর্থায়নের উপর ছিল। সেখানে একজন বক্তা ছিলেন বিল গেটস, এবং প্রশ্নোত্তরের সময় আমি এমন একটি প্রশ্ন করেছিলাম যা সবার মধ্যে হাস্যরস তৈরি করেছিল।


আমি জানতে চেয়েছিলাম, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী মানুষ হিসেবে, তিনি কি তার মেয়ের একজন গরিব বা সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিয়ে হতে দিতে পারেন। তার উত্তর আমার জীবনকে একেবারে পাল্টে দিল;


বিলের উত্তর ছিল এরকম:


প্রথমত, আপনাকে বুঝতে হবে যে সম্পদ মানে একটি বড় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকা নয়!


সম্পদ মূলত সম্পদ তৈরি করার ক্ষমতা।


উদাহরণস্বরূপ: একজন ব্যক্তি লটারি বা জ্যাকপট জিতলে। যদিও সে 100 মিলিয়ন ডলার জিতেছে, সে আসলে একজন ধনী মানুষ নয়: সে প্রচুর টাকা সহ একজন গরিব মানুষ, এবং এ কারণে 90% লটারি বিজেতা 5 বছরের মধ্যে আবার গরিব হয়ে যায়।


আপনার কাছে এমন ধনীরা আছে যারা টাকায় নিঃস্ব। উদাহরণস্বরূপ, অধিকাংশ উদ্যোক্তা।


তারা আসলে সম্পদের পথে আছেন, যদিও তাদের কাছে টাকা নেই, কারণ তারা তাদের আর্থিক বুদ্ধিমত্তা বিকাশ করছেন এবং সেটাই হলো সম্পদ।


ধনী এবং গরিবের মধ্যে পার্থক্য কি?


এটি আসলে এরকম: ধনীরা মারা যেতে পারে ধনী হওয়ার জন্য, যখন গরিবরা ধনী হওয়ার জন্য হত্যা করতে পারে।


যদি আপনি একটি যুবককে দেখেন যে স্নাতক হতে চায়, নতুন জিনিস শিখতে চায়, এবং সবসময় নিজেকে উন্নত করতে চায়, তবে জানবেন সে একজন ধনী ব্যক্তি।


যদি আপনি একটি যুবককে দেখেন যে বিশ্বাস করে সমস্যা সরকারের, এবং সব ধনী লোককে চোর মনে করে এবং তাদের প্রতি সমালোচনা করে, তবে জানবেন সে একজন গরিব, কারণ তার চিন্তাভাবনা গরিব!


ধনীরা বিশ্বাস করে যে তারা শুধু তথ্য এবং প্রশিক্ষণের প্রয়োজন উন্মোচন করার জন্য, যখন গরিবরা মনে করে অন্যদের তাদের জন্য টাকা দিতে হবে শুরু করার জন্য।


শেষে, যখন আমি বলি যে আমার মেয়ে গরিব মানুষের সঙ্গে বিয়ে করবে না, আমি টাকার কথা বলছি না। আমি ওই ব্যক্তির সম্পদ তৈরি করার ক্ষমতার কথা বলছি।


আমি যা বলব সে জন্য দুঃখিত, কিন্তু অধিকাংশ অপরাধী গরিব। যখন তারা প্রচুর টাকা সামনে পান, তারা তাদের মাথা হারিয়ে ফেলে, এবং এ কারণেই তারা চুরি করে, লুট করে ইত্যাদি…


তাদের জন্য, এটি একটি আশীর্বাদ, কারণ তারা জানে না তারা কিভাবে নিজেদের জন্য টাকা উপার্জন করতে পারে।


একদিন, একজন ব্যাংক নিরাপত্তারক্ষক একটি ব্যাগ ভর্তি টাকা পায়, এবং সে ব্যাগটি ব্যাংকের পরিচালকের কাছে দেয়।


মানুষজন এই ব্যক্তিকে বোকা মনে করেছিল, কিন্তু সে আসলে কেবল একজন ধনী ব্যক্তি ছিল যার কাছে টাকা নেই।


এক বছরের মধ্যে, ব্যাংক তার জন্য একজন রিসেপশনিস্টের পদ প্রস্তাব করে, এবং তিন বছরের মধ্যে সে গ্রাহক ব্যবস্থাপক হয়ে যায়, এবং দশ বছরের মধ্যে সে ওই ব্যাংকের আঞ্চলিক শাখা পরিচালনার দায়িত্বে আসে, যেখানে সে শতাধিক কর্মচারী পরিচালনা করে এবং তার বার্ষিক পুরস্কার সেই ব্যাগের মূল্যকে অতিক্রম করে!


সম্পদ প্রথমে একটি মানসিক অবস্থা, বন্ধু…”


Happy Reading 📖


এক শিক্ষক বলতেন, জীবনে যা কিছুই করো না কেনো, নিজেকে খুশি রাখার কারন অন্য কারো মাঝে খোঁজার চেষ্টা করো না। কখনো কারো উপর এত এক্ট্রিম লেভেলের নির্ভরশীল হবে না যাতে তোমার এক্সপেকটেশন পূরণ না হলে মন ছোট হয়। বিশেষ করে মানসিকভাবে।


তোমার মন খারাপ তুমি হেমন্তের গান শুনো, নিজেকে এক কাপ গরম কফি বানিয়ে দাও, বিকেল বেলা মিষ্টি রোদে আপনমনে নিজের সাথে কথা বলো, পছন্দের লেখকের ব‌ই পড়ো। নিজের কোন বিশেষ ক্রিয়েটিভিটি থাকলে সেটা নিয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখো। 🥀


অন্যকে ব্য*ঙ্গ করে স্ট্যাটাস লেখা, নিজের দুঃখ, দুর্বলতা জনসম্মুখে প্রকাশ করা কোন বুদ্ধিমান মানুষের কাজ নয়। খুব বেশি মন খারাপ হলে রুম অন্ধকার করে চুপচাপ বসে থাকো। যার যার ধর্ম অনুসারে প্রার্থনা করো।


পুরানো কোন স্মৃতি মনে করো, হাসো, কাঁদো যাই করো নিজের সাথে নিজের এমন একটা সুন্দরম্পর্ক তৈরি করো যাতে নিজের মন খারাপের দিনগুলোতে একটা কাঁধের প্রয়োজন না হয়।


যদি কোন কাজে সফল হ‌ও নিজেকে ট্রিট দাও, যদি অকৃতকার্য হ‌ও নিজের সাথে অভিমান করো, নিজের সাথে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হ‌ও। তবে অন্য কারো চোখে নিজের পারফেকশন খোঁজার চেষ্টা করো না।


অন্যের চোখ তোমার ত্রুটিগুলোর মাঝে যখন তোমার গুণগুলো খুঁজে পাবে না তুমি কষ্ট পাবে, পারলে তুমিই পারবে। রেস্টুরেন্টে একা বসে খাওয়াটাকে নরমালাইজ করতে হবে, পার্কে নিজের সাথে সময় কাটাতে চাওয়াকে হাস্যকর কেন মনে হবে? যদি সম্ভব হ‌য় ফাইনানসিয়ালিও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। যাতে তীব্র মুড সুয়িংয়ে নিজেকে একটা চকলেট উপহার দিতে পার, নিজের জন্মদিনে নিজেকে গিফট দিতে পারো অথবা পাড়ার সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে জন্মদিনের আনন্দ ভাগাভাগি করো, নিজের পছন্দের ড্রেসটা টাকা জমিয়ে হলেও নিজের জন্য কিনতে দিতে পারো।


মাঝে মাঝে নিজেকে কিছু ফুল দিবে। ঘরের এক কোণায় ফুল থাকবে, সুন্দর একটা গন্ধ ছড়াবে মন আপনা আপনি ভাল হয়ে যাবে। সবাইকে খুশি রাখাও তোমার দায়িত্ব না, দুনিয়ার কারো পক্ষেই সবাইকে খুশি করা সম্ভব না। যেখানে পারবে না, "না" বলাও শিখতে হবে।


আমার বাবা-মা আমাকে এপ্রিসিয়েট করে না, আমার বন্ধু আমাকে সময় দেয় না, আমার কাছের প্রিয়জন আমার সাথে ঠিকমত কথা বলে না, আমার জন্য সময় নেই এসব উপদ্রবের সৃষ্টি করবে না। আমাদের ভাষায় যেটা এটেনশন অন্যের জন্য এই চাওয়াগুলো অযথা টেনশন মাত্র।


কেন নিজেকে অন্যের বিরক্তির কারণ বানাবেন?


একটা সুন্দর ব্যক্তিত্ব থাকার জন্য খুব কঠিন হ‌ওয়ার দরকার নেই শুধু নিজেকে অতটুকু ভালবাসলেই হবে যাতে অন্যের চোখে নিজের জন্য ভালবাসা খোঁজার প্রয়োজন না হয়।


বর্তমান এই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে মানুষের মন প্লাস্টিকের মতোই, কখন জানি রূপ বদলায় কারণে বদলায়, অকারণে বদলায়। তাই মনে হয় নিজের মধ্যে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখা তুলনামূলক ভাল।

Friday, November 1, 2024

del

Del


 যেদিন কেউ চাকরি হারিয়ে চোখের পানি মুছছে, সেদিনও কেউ না কেউ চাকরিতে প্রমোশন পেয়ে দামি রেস্টুরেন্টে ট্রিট দিচ্ছে।


লাইফে কিছু একটা করতে না পারার কারণে যেদিন আপনাকে ছেড়ে কেউ একজন চলে গেছে, সেদিনও কোনো এক প্রতিষ্ঠিত ছেলের কাছে কয়েকটা মেয়ের বিয়ের বায়োডাটা এসেছে।

হাত পা গুটিয়ে বসে না থেকে সিরিয়াসলি এবার লাইফটাকে নিয়ে ভাবুন। আজীবন সময় দিয়েছেন নিম গাছের নিচে। আর এখন বলেন জীবন এত তিতা কেন?


দোষটা কার ছিল? যার কিছু নেই, তার কেউ নেই। ভাঙা সিন্দুকে কেউ টাকা রাখেনা, নষ্ট ঘড়ির কেউ যত্ন নেয়না। এই সিম্পল হিসেবটা কেন বুঝেননা?


আপনি যখন রাত জেগে দুনিয়ার হতাশা লিখে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে কমেন্টে সিমপ্যাথি আদায় করছেন, তখন হয়তো অপরপ্রান্তে কেউ রাত জেগে আউটসোর্সিং করছে। আপনি কমেন্টে প্রচুর সিমপ্যাথি পাবেন, আর সে পাবে একাউন্টে টাকা। হিসেবটা খুব সিম্পল- যে যেটার জন্য কাজ করেছে সে সেটাই পেয়েছে।


আপনি যখন স্টুডেন্ট লাইফে বাবার টাকায় বন্ধুদের সাথে মাস্তি করে দামি রেস্টুরেন্টে খেয়ে ফেসবুকে চেক ইন দিতেন, তখন আপনার কোনো এক বন্ধু ক্লাস এসাইনমেন্ট আর নোট নিয়ে ব্যস্ত ছিল। কয়েকটা বছর শেষে ফলাফল - সে এখন বড় কোম্পানির সিনিয়র অফিসার হয়ে যখন দামি রেস্টুরেন্টে অফিশিয়াল মিটিং করে, আর আপনি দুর্বল সিজিপিএ'র সার্টিফিকেট নিয়ে টঙের দোকানে চা খেতে খেতে চাকরির বিজ্ঞপ্তি খুঁজেন। এতটুকু পার্থক্যতো হওয়ারই কথা!


যে বয়সে লাইফটাকে আপনার জয় করার কথা,আপনি সে বয়সে করেছেন এনজয়। তাই যখন এনজয় করার সময় তখন বেকারত্ব জয় করতেই হিমশিম খাচ্ছেন; এনজয় তো অনেক দূরের বিষয়।


আপনার বন্ধু যখন বিসিএস ক্যাডার কিংবা ব্যাংক অফিসার হয়ে বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজছে, আপনি তখন টিকে থাকার জন্য সামান্য একটা চাকরিই খুঁজছেন। কারণ আপনি যখন ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ডেটিং করতেন, আপনার এই বন্ধুটিই তখন ক্লাসে বসে নোট করত। আজ আপনার ডেটিং পার্টনার গুলো একটাও নেই। তারা আজ প্রতিষ্ঠিত কারো লাইফ পার্টনার।


দিন শেষে হতাশ হয়ে বলেন -'শালার, ভাগ্যটাই খারাপ'! No dear, You are totally wrong. আপনার ভাগ্য আজ আপনাকে এখানে আনেনি, আপনিই আপনার ভাগ্যকে এতো নিচে নিয়ে এসেছেন। বাড়ির পাশে ময়লা ফেলে তা থেকে কিভাবে ফুলের সুবাস আশা করেন? কাজ যা করেছেন রেজাল্টও তাই।

সুতরাং সময় থাকতেই যেন আমরা সময়ের মূল্য বুঝি। কারণ প্রত্যেকটি মুহূর্তই জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ।

#সংগৃহীত #collected #গল্প #বাস্তবতা #বিশ্বাস #নারী #বই #ইচ্ছে


 🔴ব্যক্তিত্ব বিকাশ ও সাফল্যের সহজ পথ (পর্ব :১)🔴

– ডেল কার্নেগি  


🔴১. সাফল্য ও ব্যক্তিত্ব : শুরুর কথা🔴


ব্যক্তিত্ব বিকাশ ও সাফল্যের সহজ পথ  / ব্যক্তিত্ব বিকাশ ও সাফল্যলাভের সহজ পথ

ডেল কার্নেগি : রচনাসমগ্র


“ভালবাসাকে শেষ করতে কড়া কথা অথবা ব্যবহার হল ক্যান্সারের মতো।

আশ্চর্য ব্যাপার, লোকেরা এটা জানে বলেই–

আমরা আপন আত্মীয়স্বজনের চেয়ে অচেনাদের কাছেই ভদ্রতা দেখাই।

নিজের লোকেদেরই আমরা অসম্মান করি বেশি।”

–মিসেস ড্যামরস।


“ভদ্রতা হল হৃদয়ের এমন কোনো গুণ,

যেটা ভাঙা সদরের বাইরে মনোলোভা ফুলের ওপরই

দৃষ্টি ফেলতে সাহায্য করে।”

–হেনরি ক্লে রিমনার


.


সাফল্য ও ব্যক্তিত্ব : শুরুর কথা


আপনাদের কথাটা হয়তো বিশ্বাসই হবে না। অবশ্য সেটা সাধারণভাবে বিশ্বাস না হওয়ারই কথা যে, পৃথিবীতে যথাযথভাবে জীবন কাটাতে গেলে চারটি বিশেষ পথ অবলম্বন করা দরকার। এই চারটে বিষয় ধরেই প্রত্যেক মানুষের আসল বিচার ঘটে। অন্যেরাই সে বিচার করে জেনে রাখা চাই। বিষয় চারটি


হ্যাঁ, এই প্রশ্ন এই বই পড়তে শুরু করার আগে আপনাকে অবশ্যই করতে হবে। আর তার উত্তরও আপনাকে অবশ্যই করতে হবে। এবং তার উত্তরও আপনাকে পেতে হবে। শুধু পাওয়া নয়, জীবনে সুখ স্বাচ্ছন্দ্য পেয়ে বেঁচে থাকতে গেলে তাকে কাজেও লাগাতে হবে।


সেই চারটি বিষয় হল :


১। আমরা কী করি?

২। আমাদের বাহ্যিক আকৃতি কী?

৩। আমরা কীভাবে কী কথা বলি?

৪। আমাদের সেই বলার পদ্ধতি কী রকম?


একটু ভেবে দেখুন কথাগুলো।


ভাবলেই পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারবেন মানুষকে এই প্রতিযোগিতাপূর্ণ বিশ্বে নিজের স্থানটি ঠিকমত আয়ত্ত করতে অমানুষিক পরিশ্রম করতে হয়। আর সে কাজ করার জন্য উপরের চারটি বিষয়ই হলো সবচেয়ে মনে রাখার মত। এ মত পদ্ধতিগত ব্যাপারে না ঢুকেও বলা যায় উপরের বিষয়গুলোই একজন সফল মানুষের সব সাফল্যের গোড়ার কথা।


কথাটা অবশ্য এভাবে না বলাই ঠিক। কারণ এই বিষয়গুলো কোন পদ্ধতি নয়। আসলে কাউকে বিচার করার পথ মাত্র। এই পথ দিয়েই একজন সফল মানুষের বিচার সম্ভব।


কিন্তু বিচার করার ফলশ্রুতি কী?


এ প্রশ্নও করা স্বাভাবিক।


আসলে এগুলো থেকেই একজন পরিপূর্ণ মানুষের সঠিক পরিচয় পেতে পারে সবাই।


কী বলতে চাই নিশ্চয়ই সকলে উপলব্ধি করতে পেরে থাকবেন।


হ্যাঁ, একজন সরল মানুষের সাফল্যের গোড়ার সেই কথাটাই বলতে চাই। অর্থাৎ চারটি বিষয়ের অর্থ হলো একজন মানুষের সঠিক ব্যক্তিত্ব প্রকাশেরই চাবিকাঠি।


এই পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা কত? অন্তত কয়েক’শ কোটি তো বটেই, এতো একজন স্কুলের ছাত্রও জানে। অথচ ভাবলেও অবাক হতে হয় সেই কোটি কোটি মানুষের মধ্যে সফলতার মুখ দেখেন কজন? দেশে দেশে এমন মানুষের সংখ্যা জনসংখ্যার অনুপাতে বড়ই নগণ্য। তাই না?


এ কথা তাই সকলের স্বীকার করা উচিত সফলতা তাদেরই আসে যারা সঠিকভাবে তাদের জীবনকে পরিচালনা করতে পারেন।


সেই জীবনকে পরিচালনা করে এগিয়ে নিতে তারাই তাই পারেন, জীবনের নানা ঘাত প্রতিঘাত আর বাধা বিপত্তিকে যারা অনায়াসে জয় করতে পারেন।


সবাই তা পারে না কেন?


এখানেই আসছে ব্যক্তিত্বের কথা। সকলের ব্যক্তিত্ব কখনই সমানভাবে স্ফুরিত হয় না, হতে পারে না।


এর মধ্যে অবশ্যই আরও কিছু বিষয়ের অবতারণা কেউ কেউ করে থাকেন। ব্যক্তিত্ব প্রকাশ আর সাফল্যের জন্য এটাও অনেকটাই কাজ করে অনেকেরই ধারণা।


সেটা কী?


সঙ্গত প্রশ্ন, তাতে দ্বিমত নেই। সেটা হল ভাগ্য। অনেকেই বলে থাকেন ভাগ্য সহায় থাকলে অনেকখানি কাজ এগিয়ে দিতে পারে কিন্তু পৃথিবীর অসংখ্য কৃতী, সফল মানুষের জীবনী পর্যালোচনা করুণ একবার, দেখতে পাবেন যে সেখানে ভাগ্যের কোন স্থান নেই। বিশ্বের বহু মানুষই সামান্য অবস্থা থেকে শুধু মাত্র প্রত্যয় আর ব্যক্তিত্বের জোরেই সাফল্যলাভ করে স্মরণীয় হয়েছেন।


সেখানে দারিদ্র্যও তাদের অগ্রগতি রোধ করতে পারেনি। বহু খ্যাতিমান মানুষ চরম দারিদ্র্যে প্রথম জীবন কাটিয়েও শেষ পর্যন্ত খ্যাতি এবং প্রাচুর্যের শিখরে উঠেছেন।


এ ব্যাপারে একজনের নাম করতে পারি। আপনাদের মধ্যে অনেকেই তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত।


তিনি হলেন বিখ্যাত ইংরাজ ঔপন্যাসিক এইচ, জি, ওয়েলস। নিজের ব্যক্তিত্ব, অধ্যবসায় আর পরিশ্রমের জোরেই তিনি খ্যাতিলাভ করেছিলেন, সফল হয়েছিলেন সাহিত্যিক হিসেবে।


এরকম আর একজন মানুষ ছিলেন আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন। ব্যক্তিত্বই তার সাফল্যের চাবিকাঠি ছিল।


এরকম আরও অসংখ্য মানুষেরই নাম করা যায় যাঁরা তাঁদের জীবনে সেই চারটি বিষয় কাজের ক্ষেত্রে উৎকর্ষের চরমতম শিখরে নিতে পেরেছিলেন।


এমনই আর একজন ছিলেন ফরাসী সম্রাট নেপোলিয়ান বোনাপার্ট। ব্যক্তিত্বের ক্ষেত্রে সম্রাট নেপোলিয়ানের তুলনা ছিলো না। সেনাবাহিনীর প্রত্যেকে তাঁকে অসম্ভব রকম শ্রদ্ধা করতেন।


নেপোলিয়ান এরকম শ্রদ্ধা আকর্ষণ করতেন কিভাবে? এটাই তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।


নেপোলিয়ানের এই অসাধারণ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অদ্ভুতভাবেই শেষ পর্যন্ত থেকে যায়। শেষ পর্যন্ত শত্রুপক্ষের, অর্থাৎ ইংরাজদের হাতে বন্দী হয়েও তার ব্যক্তিত্ব উজ্জ্বল থেকে যায়।


শোনা যায় নেপোলিয়নকে বন্দী করে সেন্ট হেলেনায় নিয়ে যাওয়ার সময় ইংরাজ সেনারা তাঁকে অভিবাদন জানায় তাঁর অস্বাভাবিক ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ হয়ে।


ঠিক এ রকমই আবার লক্ষ্য করা গেছে তুর্কী সেনাধ্যক্ষ আর অবিসম্বাদী নেতা কামাল আতাতুর্কের ক্ষেত্রেও।


একটা কথা তাই মনে রাখা দরকার। আর তা হল, যে কোন মানুষের জীবনে ব্যক্তিত্বই হলো সাফল্যের মূল কথা। আর সেই কারণেই সেই ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করাই আসল কাজ।


আবারও সেই চারটি বিষয়ের উল্লেখ করতে হয়। ওই চারটি বিষয় নির্ভর করেই গড়ে ওঠে যেকোন মানুষের ব্যক্তিত্ব। আর তারই পরে স্বভাবতই এসে পড়ে সাফল্য।


আরও কিছু বিষয় নিয়েও আলোচনা দরকার। কারণ এই ব্যক্তিত্ব যেমন গড়ে তুলতে পারা সম্ভব সেভাবে একজনের বাহ্যিক আকৃতির পরিবর্তন কি সম্ভব?


না। এটাই হল উত্তর। শুধু তাকে কিছুটা বদলে নেওয়াই সম্ভব। আব্রাহাম লিঙ্কনের কথাটাই ধরুন। লিঙ্কন সুপুরুষ ছিলেন না। এজন্য তার ব্যক্তিত্ব স্ফুরণের কোন রকম অসুবিধা হয় নি। কারণ ব্যক্তিত্ব কেবলমাত্র বাইরের আকৃতির উপর নির্ভর নয়।


ব্যক্তির মধ্যে এমন কিছু থাকে যা অনায়াসেই হাজার হাজার মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে তাদের বশে আনা সম্ভবপর। ব্যক্তিত্বহীন মানুষ কদাচিৎ সফল হতে পারে। পৃথিবীর যেকোন দেশের ইতিহাস ঘাটলেই এ কথার সত্যতা আপনাদের চোখে পড়বে তাতে সন্দেহ নেই।


একবার ইংল্যাণ্ডের প্রধানমন্ত্রী ডিসরেলী আর গ্ল্যাডস্টোনের কথাটা ভাবুন।


ব্যক্তিত্বের জোরেই তাঁরা ইতিহাসে খ্যাতিমান বলে পরিচিত হয়েছিলেন। সাফল্য তাঁদের অনুসরণ করেছিল সারা জীবন।


নিজের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে অসম্ভব সচেতন ছিলেন জার্মানীর প্রধানমন্ত্রী বিসমার্ক। তাঁর এই ব্যক্তিই তার অস্বাভাবিক জনপ্রিয়তা আর সাফল্যের মূল কথা তাতে কোন রকম সন্দেহ নেই কারও।


ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটে কেমন করে?


এ কথার উত্তর আগেই দেওয়ার চেষ্টা করেছি। মানুষ আর পশুর মধ্যে তফাৎ হলো মানুষ ব্যক্তিত্বের মধ্য দিয়ে সহজেই ক্ষমতা দখল করতে পারে অথচ পশুর একমাত্র সম্বল তার দৈহিক শক্তি।


ব্যক্তিত্বের মধ্যে কখনও আকাঙ্ক্ষাকে জড়িয়ে ফেলা সমীচীন হবে না। অনেক বিখ্যাত ব্যক্তির মধ্যে ব্যক্তিত্ব থাকা সত্বেও অহঙ্কার তাদের বেশি এগুতে দেয় নি, এনেছে পতন। কলম্বাসের কথাই এক্ষেত্রে উল্লেখ করা যায়।


মানুষের কতকগুলি ত্রুটির কথা স্বীকার করে নেওয়াই বোধ হয় ভালো। যে কোন দুঃখজনক পরিস্থিতি বা জটিলতার আবর্তে পতিত হলে মানুষ অনেক ক্ষেত্রেই ভুল পথ গ্রহণ করে। এসব ক্ষেত্রে ব্যক্তিত্ব বা সাফল্য অনেককেই সঠিক পথ গ্রহণে সাহায্য করতে পারে। এজন্য অবশ্যই প্রয়োজন নিঃসন্দেহে বাস্তববুদ্ধি আর সঠিক পথ গ্রহণে সক্ষমতা। এর মধ্যেই মানব চরিত্রের ব্যাখ্যা মিলতে পারে। পশুর সঙ্গে মানুষের তফাৎ এখানেও।


মানুষের সফল হওয়ার ক্ষেত্রে নানা বাধাই আসে। সে বাধা নানাভাবে আসা সম্ভব। একটা উদাহরণ রাখা যাক।


কোন মানুষের বিশেষ ব্যক্তিত্ব আর কার্যকরী ক্ষমতা থাকা সত্বেও সে হয়তো বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যর্থও হতে পারে, শতকরা একশ ভাগ সাফল্য যেহেতু কোন রকমেই আসতে পারে না। পৃথিবীর ইতিহাস ঘাঁটলে এমন অজস্র উদাহরণ চোখে পড়তে পারে। যেমন নেপোলিয়ান বোনাপার্টের জীবন। নেপোলিয়ান উদ্দাম ঝড়ের মতই সাফল্যের শীর্ষে আরোহণ করেছিলেন কিন্তু তার বিশাল সেনাবাহিনী রাশিয়া জয়ে সক্ষম হয়নি।


এক্ষেত্রে নেপোলিয়নের ব্যক্তিত্ব সফল হতে পারেনি। কারণ বাধা হয়ে দাঁড়ায় রুশ সেনার প্রতিরোধ আর নিষ্করুণ প্রকৃতি।


জীবনে সাফল্য আনার কাজে ব্যক্তিত্বকেই একমাত্র বড় করে দেখুন এমন কথা বলা হয়তো বেশি বাড়াবাড়ি বলে মনে হবে। এর সঙ্গে অবশ্যই ভাগ্যের কিছু স্পর্শকে অস্বীকার করা উচিত নয়।


হ্যাঁ, এর সঙ্গে চাই আরও একটা বস্তু। আর তা হলো মানসিক শক্তি। এই মানসিক শক্তিই একজন মানুষকে চালনা করে নিয়ে যায়। এটাই হলো যেকোন মানুষের চালনাশক্তি, গাড়ির জ্বালানী।


ব্যক্তিত্ব প্রকাশের সঙ্গে কি শিক্ষার সম্বন্ধ থাকে? এটা অনেক ক্ষেত্রে সঠিক না হলেও কোন কোন ক্ষেত্রে ঠিক। অথচ বিশ্বের নানা দেশের ইতিহাস পাঠ করলে দেখা যায় প্রকৃত পুঁথিগত শিক্ষা না থাকা সত্ত্বেও ব্যক্তিত্ব পূরণে বাধা হয়নি।


ভারতবর্ষের ইতিহাসে মহান সম্রাটের কোন অভাব দেখা দেয়নি। মোগল সম্রাট আকবরের কথাই ধরুন। আকবর ছিলেন অক্ষর জ্ঞানহীন সম্রাট। অথচ ভারতবর্ষের ইতিহাসে তাঁর নাম বেশ উঁচুতেই।


সম্রাট আকবরের এই ক্ষমতা আর সুনাম কি কারণে? কারণ তাঁর প্রখর বাস্তব বুদ্ধি, চতুরতা আর অবশ্যই কিছুটা সহিষ্ণুতা। সব মিলে গড়ে উঠেছিল তাঁর ব্যক্তিত্ব। তা অতি বড় শত্রুও তাঁর সামনে ম্লান হয়ে পড়তেন।


ব্যক্তিত্ব আর সাফল্য অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত অনেকেই এমন কথা বলে থাকেন।


কথাটায় হয়তো কিছুটা সত্যতার প্রকাশ ঘটে। ব্যক্তিত্ব কথাটা কেবল অপর কাউকে জয় করাই বোঝায় না। ব্যক্তিত্ব এমন একটা শক্তি যার প্রকাশে মানুষ আপনা আপনিই বশ হয়ে যায়। শুধু সুইচ টিপলেই যেমন আলো জ্বলে উঠতে পারে তেমনভাবে ব্যক্তিত্ব আচমকা কারও মধ্যে এসে যায় না।


ব্যক্তিত্ব ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে, তার জন্য অনেক মেহনতও করা চাই।


পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে গিয়ে মানুষ সবচেয়ে বেশি মাথা ঘামাতে চায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার কাজে।


হ্যাঁ, প্রতিষ্ঠিত বলছি খেয়াল রাখবেন। সুপ্রতিষ্ঠিত নয়।


প্রতিষ্ঠিত মানুষ আর সুপ্রতিষ্ঠিত মানুষের মধ্যে অনেকটাই ফারাক। সকলের পক্ষে সুপ্রতিষ্ঠা লাভ আদপেই সম্ভবপর হয় না। যেমন সেনাধ্যক্ষ একজন, অথচ সেনা অনেক। সকলেই সেনাধ্যক্ষ হতে পারে না।


কিন্তু এমন হওয়ার কারণ কী?


এ প্রশ্নের জবাব গোড়াতেই দিতে চেয়েছি–ব্যক্তিত্ব। হ্যাঁ, সকল প্রতিষ্ঠিত মানুষের প্রধান হাতিয়ার হলো তার ব্যক্তিত্ব। ব্যক্তিত্বই সাফল্যের মূল কথা।


এ বইয়ে মানুষের ব্যক্তিত্বকে গড়ে তোলার কথাই তাই বলতে চাওয়া হয়েছে। ব্যক্তিত্ব অনায়াসলভ্য কখনই নয়। তাই এটা গড়ে তোলার কাজে চাই আত্মবিশ্লেষণ। সমস্ত ক্রটি, নানা অসুবিধা আর বাধা জয় করার মধ্য দিয়েই আসে প্রকৃত সাফল্য আর যে সাফল্য লাভ করে ব্যক্তিত্বই হয় তার প্রধান সহায়।


পৃথিবীতে এরকম অসংখ্য কৃতী, বিখ্যাত ব্যক্তি আছেন যাদের জীবনী আলোচনা করলেই একথার সত্যতা প্রকট হয়ে পড়বে।


তাই আসুন বৃথা সময় নষ্ট না করে বইটি পড়তে আরম্ভ করুন।


কে বলতে পারে আগামী ভবিষ্যতে আপনিও আপনার নিজের ক্ষেত্রে একজন প্রকৃত সফল ব্যক্তিত্বের অধিকারী হয়ে উঠবেন না। কারণ অনেকেই তাই হয়েছেন।


আমাদের পরিশ্রম তখনই সার্থক হবে সামান্যতম সহায়তাও যদি আপনার ব্যক্তিত্ব গড়ে তোলার ক্ষেত্রে করতে পারি।


তাহলে এবার আগ্রহী হয়ে থাকলে বইখানার পাতা উল্টে পড়ে ফেলুন আর তারপর দেখে নিন আপনি এ থেকে কতখানি সহায়তা পেতে পারেন।


পর্ব  ১ শেষ 📌

(Copied From - Democracy  With Monjur ) 


🔴ব্যক্তিত্ব বিকাশ ও সাফল্যের সহজ পথ (পর্ব :২)🔴👇

Syll Jam

 Syll Jam