Syll Jam
Avenue Motivation Bangla
Friday, July 11, 2025
মৌমাছির হোলে ফিরে পেলেন জীবন, আল্লাহ চাইলে সবি সম্ভব।
মৌমাছির হোলে ফিরে পেলেন জীবন, আল্লাহ চাইলে সবি সম্ভব।
১৯৯৬ সালে মাত্র ২৭ বছর বয়সে আমেরিকান নিউক্লিয়ার বিজ্ঞানী
এলি লোবেল ভয়ানক একটি টিক পোকার কামড়ে লাইম ডিজিজে আক্রান্ত হন। পরবর্তী ১৫ বছর
তিনি হুইলচেয়ারে কাটান এবং জীবনের প্রতি সব আশা
হারিয়ে ‘ইচ্ছামৃত্যু’ নিতে যান ক্যালিফোর্নিয়ার এক গ্রামে।
সেখানেই ঘটে এক বিস্ময়কর ঘটনা—এক ঝাঁক মৌমাছির হুলে
আক্রান্ত হন তিনি। ছোটবেলায় মৌমাছির হুলে কোমায় যাওয়া এলির মনে হয়েছিল এবার বুঝি
সব শেষ। কিন্তু উল্টো তাঁর শরীরে দেখা দেয় জ্বর ও ব্যথা, যা দেখায় যে
শরীরের ভেতরের ব্যাকটেরিয়াগুলো মরতে শুরু করেছে (এই প্রতিক্রিয়াকে বলে Herxheimer
Reaction)।
মাত্র তিন দিনের মধ্যেই এলির অবস্থার উন্নতি হতে থাকে—ব্যথা
কমে, স্মৃতি ফিরে আসে, তিনি হাঁটতে শুরু করেন।
গবেষণায় জানা যায়, মৌমাছির বিষে থাকা Melittin নামের একটি
উপাদান লাইম ডিজিজের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া (Borrelia burgdorferi) ধ্বংস করতে
পারে। এরপর এলি নিজেই শুরু করেন অ্যাপিথেরাপি—প্রতিদিন কিছু মৌমাছির হুল প্রয়োগ
করে নিজেকে চিকিৎসা করেন। কয়েক হাজার হুল নেওয়ার পর তিন বছরেই তিনি পুরোপুরি সুস্থ
হয়ে ওঠেন।
এখন তিনি মৌ-খামারে কাজ করেন এবং গবেষণা বলছে, মৌমাছির এই বিষ
শুধু লাইম ডিজিজ নয়, এইচআইভি ও ক্যান্সারের বিরুদ্ধেও কার্যকর হতে পারে।
তথ্যসূত্র
Tuesday, May 27, 2025
"অমুক মাছ কেটে দিনে দশ হাজার কামাচ্ছে"
"অমুক মাছ কেটে দিনে দশ হাজার কামাচ্ছে"
"লাউয়ের বাগান করে কোটিপতি"
"চাকরি ছেড়ে গোবর আর কেঁচো নাড়াচাড়া"
এসব গল্প এখন অনেকেই শোনায়।
তরুণদের জন্য, এই ফাঁদে পড়বেন না। একদম নিজের চোখে দেখা অভিজ্ঞতা। আমাদের বয়সী একজন, ওয়েল পেইড জব ছেড়ে এইসব কুইক ক্যাশের নেশায় পড়ে গেলো। এখন হাউমাউ করে মরছে।
১। আপনি যা-ই করেন, সেটার এক্সপান্ডিবিলিটি থাকতে হবে। ধরুন, একজন রিকশাওয়ালা, সে ডিসেন্ট আয় করে, এন্ট্রি লেভেল চাকরিজীবীর চেয়ে বেশী। রিকশাওয়ালা ৩০ হাজার কামায় আর জবে নতুন হলে ১৫ হাজার বেতন - সবাই আপনাকে এটুকুই বলবে।
এবার পরের হিসাবটা, ধরুন ওই রিকশাওয়ালা তার ইনকাম ডাবল করতে চায়, বা ইভেন বাড়াতে চায়। তার জন্য একমাত্র অপশন রিকশা চালানোর সময় বাড়িয়ে দেওয়া। ডাবল করতে চাইলে তাকে ১০ ঘন্টার জায়গায় ২০ ঘণ্টা রিকশা চালাতে হবে। এটা কী ফিজিকালি পসিবল? সাথে বৃষ্টি, রোদ, ছুটির দিনে কাজে না গেলে আয় নেই।
বা যে মাছ কাটছে তাকে ডাবল মাছ কাটতে হবে।
কিন্তু এন্ট্রি লেভেলের জবে ৪/৫ বছরে বেতন ডাবল হয়ে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক, কোনো অতিরিক্ত ঘন্টা না বাড়িয়েই।
২। আপনি যে কাজটা করতে চান সেটা তো ভালো লাগতে হবে। ফেসবুকের এক লাইকখোরের লেখা পড়ে আপনি সিদ্ধান্ত নিলেন বাজারে বসে মাছ কাটবেন, চাকরীর ডাবল ইনকাম। ভেবে দেখুন, আগামী ত্রিশ বছর আপনি বটি ঘাড়ে করে মাছবাজারে গিয়ে নোংরা জলের মধ্যে বসে মাছ নাড়াচাড়া করতে রাজি আছেন কিনা।
৩। লাইফস্টাইলের ব্যপার রয়েছে। আপনার যখন তেমন ইনকাম ছিলো না আপনি বাইক চালাতেন। সামনে টাকা হবে, গাড়ী কিনবেন। কিন্তু এসব কাজে তার কাজ কী? গাড়ী চালিয়ে কি আপনি ঝালমুড়ি বেচতে যাবেন?
৪। চাকরিজীবি বা ডিসেন্ট লেভেলের উদ্যোক্তা হলে আপনি তার সাথে একটা লাইফস্টাইল আর নেটওয়ার্ক বাই ডিফল্ট পাবেন। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ধরুণ, আপনি একটা স্টেশনারি কোম্পানির মার্কেটিংয়ে জব করেন। আপনি আজ এই ভার্সিটিতে, কাল ওই ঝকঝকে অফিসে বিটুবি ডিল করতে যাবেন। কত হাই স্কিল লোকের সাথে পরিচিতি হবে, কন্টাক্ট বিনিময় হবে।
কিন্তু আপনি টাকা দেখে রাস্তায় ঝুড়ি নিয়ে দাড়ালেন। আপনার নেটওয়ার্ক হবে পাশের বাদামওয়ালা, গান গাওয়া ভিক্ষুক। ওই বাদামওয়ালার এই মুহুর্তের সবচেয়ে বড় চিন্তা সে কতক্ষণে সব বিক্রি করে ঘরে যাবে। আগামীকালও সে একই কাজ করবে। আপনার মত তার অ্যাম্বিশন নেই, বড় কিছু করার ইচ্ছে নেই, দেশ-মানুষের উপকারে আসার খায়েশ নেই।
মনে রাখবেন, Your network is your net-worth
৫। আর এইসব পেশায় যে খুব বেশী ইনকাম হয় তাও কিন্তু না। শিরোনামে লেখা 'চাকরি ছেড়ে লাউ চাষে লাখপতি'। ভিতরে লিখেছে এক বছরে তার আয় তিন লাখ টাকা। মানে ওই লোক মাসে ২৫,০০০ টাকা কামায়, সেটা আবার নিউজ!
তাই এইসব ভুয়া মোটিভেশনের ফাঁদে পড়বেন না। প্রতিবছর নিউজ মিডিয়াগুলো নিজেদের স্বার্থেই এরকম নিউজ করে। গত পাঁচ বছরে তো নিউজ কম দেখেন নি, আইফোন হাতে বাদামওয়ালা, ডিএসএলআর হাতে খিচুড়ি বিক্রেতা। প্রশ্ন হলো তারা এখন কোথায়? তারা এখনো কেন সেই রাস্তায় বসছে না আর ওরকম আয় করছে না? তাহলে এগুলো রিলায়েবল পেশা হয় কিভাবে?
কোন কাজই ছোট নয়। কিন্তু সব কাজই যে আপনার ফিল্ড, তা-ও নয়।
আপনার কাছে খুব ভালো একটা প্লান আছে, কিন্তু পঞ্চাশ হাজার টাকার জন্য আপনি এগোতে পারছেন না। এখন আপনি যদি মাছ কুটে, বাদাম বেঁচে ওই পঞ্চাশ হাজার টাকা জোগাড় করে ফেলতে পারেন, তাহলে সেটা ঠিক আছে। কিন্তু যেভাবে এসব পেশাকে সরাসরি একটা ওয়েল পেইড জবের বিকল্প হিসেবে দেখানো হচ্ছে, তা মোটেও রিয়েলিস্টিক নয়।
#𝑪𝒐𝒍𝒍𝒆𝒄𝒕𝒆𝒅
Tuesday, May 20, 2025
সতর্কতামূলক পোষ্ট:- ""সাবধান"" মনে আছে- মিথ্যা বাচ্চা চুরির অপবাদ দিয়ে, রেনু নামের এক মহিলাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিলো?
সতর্কতামূলক পোষ্ট:- ""সাবধান""
মনে আছে- মিথ্যা বাচ্চা চুরির অপবাদ দিয়ে, রেনু নামের এক মহিলাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিলো?
এখন দেশে ছিনতাই হচ্ছে, ছিনতাইকারীদের কে অনেক জায়গায় পিটিয়ে মারা হচ্ছে। বা নির্দয়ভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে।
লক্ষ্য রাখবেন; রেনুর মতো কোনো নিরপরাধ মানুষের- জীবন যেনো আর না যায়।
ছিনতাইকারী ধরার পর শতভাগ নিশ্চিত হোন।
তার পরিচিত কাউকে কল করুন।
তার মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয় স্বজনদের সাথে কথা বলুন।
জেনে নিন সে ভালো না খারাপ।
কোথায় থাকে? কি কাজ করে? ইত্যাদি।
মনে রাখবেন- একটি ভুলে একটি জীবন থেমে যাওয়া ও একটি পরিবারের আজীবনের জন্য কান্না।😥
@highlight
আর্থিক সচেতনতা: সময়ের দাবি ও ভবিষ্যতের প্রস্তুতি
১. ফিনান্সিয়াল ক্রাইসিস এভয়েড করতে চাইলে...
"Emergency never knocks, it breaks in."
জীবনে যে কোনো মুহূর্তে আর্থিক সংকট আসতে পারে—স্বাস্থ্য, চাকরি হারানো, পারিবারিক বিপর্যয়—তাই প্রস্তুতি আবশ্যক।
উৎসব নয়, স্থিতিশীলতা:
লোক দেখানো অনুষ্ঠান যেমন বিয়ে বা জন্মদিনে অপ্রয়োজনীয় খরচ এড়িয়ে চলুন।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ভারতীয় উপমহাদেশে মধ্যবিত্ত পরিবারের প্রায় ৩৫% সঞ্চয় খরচ হয় শুধুমাত্র ছেলেমেয়ের বিয়েতে।
২. কম খরচে অধিক মুনাফা: স্মার্ট ইনভেস্টমেন্ট স্ট্র্যাটেজি
স্মার্ট সেভিংস টিপস:
সন্তান জন্মের পর মাত্র ১ লাখ টাকা যদি ৮-১০% ইন্টারেস্টে ফিক্সড ডিপোজিট করা হয়, তবে ২০ বছরে তা দাঁড়াবে প্রায় ৫ লাখ টাকা (চক্রবৃদ্ধি হারে)।
“Start early, grow steadily.”
৩. সন্তানের আর্থিক শিক্ষা শুরু হোক ঘর থেকেই
ফিনান্সিয়াল লিটারেসি শেখানো হোক ছোটোবেলা থেকে:
প্রোডাক্টিভ vs নন-প্রোডাক্টিভ ইনভেস্টমেন্ট:
গ্যাজেট নয়, সোনা-রুপার মতো মূল্যবান ধাতুতে বিনিয়োগ শেখান।
কারণ এগুলোর রিসেল ভ্যালু থাকে, প্রযুক্তির নয়।
“Don’t raise consumers. Raise creators.”
৪. স্ট্যাটাস নয়, স্ট্যাবিলিটি জরুরি
ছেলের বিয়েতে সর্বস্ব খরচ নয়:
একটি সাদাসিধে বিয়ে করে বরং বাকি টাকাটি সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য ইনভেস্ট করুন—ফিক্সড ডিপোজিট, SIP, সোনার বার, বা লিকুইড মানি আকারে।
৫. রিয়েল এসেট বনাম লিকুইড অ্যাসেট: কোনটি জরুরি?
জমি ও বাড়ি জরুরি হলেও তা লিকুইড নয়:
দুঃসময়ে ঘরের দরজা বিক্রি করা যায় না, কিন্তু গহনা বা ব্যাঙ্কের টাকা কাজে আসে।
“Liquidity is king in crisis.”
৬. উচ্চ ডিগ্রি নয়, কার্যকর দক্ষতা জরুরি
সার্টিফিকেট নয়, স্কিল চ্যাম্পিয়ন করে:
সন্তানকে পড়ালেখার বাইরেও কারিগরি জ্ঞান, ব্যবসার ধারণা ও বাস্তব অভিজ্ঞতা দিন।
Part-time job, freelancing, entrepreneurship—যেকোনো দিকেই উৎসাহ দিন।
“Degrees open doors, but skills build the path.”
৭. একটিমাত্র আয়ের পথ নয়, বহু আয়ের স্ট্রিম তৈরি করুন
Diversify your income sources:
বিভিন্ন খাতে ইনভেস্ট ও উপার্জনের পরিকল্পনা করুন:
Real Estate
SIP
Digital Business
Freelance / Remote Work
Small Scale Business
"Never depend on a single income. Make investment to create a second source." — Warren Buffett
৮. সন্তানকে স্বাধীন চিন্তা ও পছন্দের স্বাধীনতা দিন
গভর্নমেন্ট জব মানেই নিরাপত্তা নয়:
বর্তমান বিশ্বে কোন খাতে একশো শতাংশ সিকিউরিটি নেই—সরকারি হোক বা বেসরকারি।
তাই সন্তানকে তাঁর আগ্রহ অনুযায়ী খাত বেছে নিতে দিন এবং গাইড করুন।
৯. ভবিষ্যতের জন্য ‘মাসিক আয় প্রকল্প’ প্রস্তুত রাখুন
Monthly Income Scheme (MIS):
বয়স ও দুঃসময়ের কথা মাথায় রেখে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা এমন স্কিমে রাখুন, যাতে অন্তত মাসের খরচ চলে।
"A penny saved today is a savior tomorrow."
১০. প্রতিটি বিষয়কে বিজনেস মাইন্ডে ভাবুন
Risk Management = Survival Strategy
একটা ইনভেস্ট ডুবে গেলেও যেন অন্যটা বাঁচিয়ে রাখতে পারে—এই চিন্তা করে চলুন।
"Think like an investor, act like a protector."
Sunday, May 18, 2025
সবাইকে সচেতন হওয়া উচিত। এমন কেইস পাওয়া যায় প্রতিনিয়ত।
সবাইকে সচেতন হওয়া উচিত। এমন কেইস পাওয়া যায় প্রতিনিয়ত।
"গত এডমিশনে একটি রোগী আসে শায়েস্তাগঞ্জ থেকে পেটে ব্যথা ,পেট ফোলা নিয়ে। History নিয়ে জানতে পারলাম,১৫ দিন আগে বাচ্চা নষ্ট হওয়ার জন্য তার D&c হয়েছে। উৎকট গ ন্ধে এডমিশন রুমে কেউ রোগীর কাছে যেতে পারছিল না, আমাদের জন্য রুমে থাকাটাই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছিল। পরীক্ষা করার পর দেখা গেল, জ রায়ুর মুখ দিয়ে গলগল করে পুঁ জ আসছে এবং বাচ্চার একটা ভা ঙ্গা হা ড্ডি পাওয়া গেল। আমরা ধারণা করে নিলাম, D&c করার সময় অবশ্যই জ রায়ু ছি দ্র করে ফেলা হয়েছে। এক্সরে করার পর রোগীর সারা পেটে ছড়ানো ছিটানো বাচ্চার গুঁ ড়া গুঁ ড়া হা ড্ডি পাওয়া গেল। Surgery ডিপার্টমেন্ট যখন সেটা অ পারেশন করলো, দেখা গেল ঘটনা আসলেই তাই। জ রায়ু ছি দ্র করে বাচ্চার সবগুলো হা ড় রোগীর peritoneal cavity তে (ছবিতে এগুলো বের করে আনা হয়েছে)।
রোগীর লোকদের এত সা হস কিভাবে হয় যে তারা এরকম D&c বাসায় করাতে পারে?"
ডা.স্নিগ্ধা তালুকদারের ওয়াল থেকে নেয়া।
Monday, May 5, 2025
আপনি জানেন? ইসলামের একটি যু-*দ্ধ সংঘঠিত হয়েছিল শুধুমাত্র একজন মুসলিম নারীকে বিবস্ত্র করার অপরাধে!
Sunday, May 4, 2025
প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি রোধে যেসব ব্যবস্থা নিয়েছিলেন ওমর (রা.)
প্রাতিষ্ঠানিক
দুর্নীতি রোধে যেসব ব্যবস্থা নিয়েছিলেন ওমর (রা.)
প্রাতিষ্ঠানিক
দুর্নীতি রোধে যেসব ব্যবস্থা নিয়েছিলেন ওমর (রা.)
প্রাতিষ্ঠানিক
দুর্নীতি উন্নয়নশীল দেশগুলোর সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে প্রধান অন্তরায়।
দুর্নীতির কারণে মানুষ শুধু তাদের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অধিকারসমূহ থেকে বঞ্চিত হয়
না; বরং ব্যাহত তাদের দৈনন্দিন
জীবনের অগ্রযাত্রাও। ফলে দেশ ও জাতির সামগ্রিক অগ্রগতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত
হয়। ইসলাম সব ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর।
দুর্নীতির সঙ্গে
জড়িত সব পক্ষের বিরুদ্ধে ইহকালীন ও পরকালীন শাস্তির ঘোষণা দিয়েছে। রাসুলুল্লাহ
(সা.) বলেন, ‘ঘুষদাতা ও ঘুষ
গ্রহীতার প্রতি আল্লাহর অভিশাপ।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৩০৯)
ইসলামের দ্বিতীয়
খলিফা ওমর (রা.)-এর সুশাসন ও দক্ষতা মানব ইতিহাসে স্বীকৃত। তাঁর সময়ে ইসলামী
রাষ্ট্র একটি শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো লাভ করে।
বিপুলায়তন অথচ
নব-বিকশিত ইসলামী খেলাফতের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ও অনিয়ম রোধ করাও এই সময়
খুব ছোট চ্যালেঞ্জ ছিল না। ওমর (রা.) এই চ্যালেঞ্জ অত্যন্ত সফলভাবে মোকাবেলা করেন।
তাঁর নেওয়া ১০টি পদক্ষেপ তুলে ধরা হলো—
প্রশাসনিক
কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীল হওয়ার নির্দেশ
সাধারণ মানুষ ও
উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যকার দূরত্ব প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির একটি কারণ। ওমর
(রা.) রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের প্রতি ফরমান জারি করেন যেন তারা জনগণকে
সহজে যোগাযোগের সুযোগ করে দেয়।
তিনি বলেন,
‘মানুষের জন্য তোমার দরজা
কখনো বন্ধ করবে না। তাহলে তাদের ক্ষমতাবানরা দুর্বলদের খেয়ে ফেলবে।’ (তাবাকাতে
ইবনে সাদ : ৩/৩৩৯)
খলিফা ওমর (রা.)
নিজেও ছিলেন অত্যন্ত দায়িত্বপরায়ণ। তিনি রাতের অন্ধকারে ছদ্মবেশে মদিনার পথে পথে
ঘুরে বেড়াতেন। আলী ইবনে আবদুল মুত্তালিব (রা.) থেকে বর্ণিত, ওমর (রা.) বলেন, সেই সত্তার শপথ! যিনি মুহাম্মদ (সা.)-কে
নবুওয়াত দিয়ে প্রেরণ করেছেন যদি ফোরাত নদীর তীরে একটি উটের বাচ্চা চুরি হয়,
তবে কিয়ামতের দিন তার
জন্য আমাকে জবাবদিহি করতে হবে।
’ (আবদুল আজিজ বিন
মুহাম্মদ, আল মাদিনাতুন
নাবাবিয়্যাহ : ২/৬২১)
পরামর্শ ও
অনুসন্ধানের পর নিয়োগ
ওমর ফারুক (রা.)
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের পূর্বে ব্যক্তি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতেন এবং
প্রাপ্ত তথ্য ‘মজলিসে শুরা’র সামনে উপস্থাপন করতেন; কোনো এলাকার গভর্নর বা সমপর্যায়ের পদে কাউকে
নিয়োগ দিলে সাধারণ মানুষের মতামতও নিতেন। পরামর্শের ভিত্তিতে তার নিয়োগ চূড়ান্ত
করতেন। (আস সিয়াতু ফিল ফিকরিল ইসলামী, ড. আহমদ শালবি, পৃষ্ঠা ১৭৭)
নিয়োগের সময়
সতর্কীকরণ
ওমর (রা.) কাউকে
নিয়োগের সময় প্রশাসনিক কর্মীদের যেকোনো ধরনের দুর্নীতি ও সুযোগের অব্যবহার এবং তার
পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করে বলতেন, ‘আমি মানুষকে এসব
বিষয় থেকে নিষেধ করেছি। মানুষ তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে, যেমন শিকারি পাখি গোশতের দিকে তাকিয়ে থাকে। যদি
তোমরা তা করো তবে তারাও করবে এবং তোমরা যদি তা পরিহার করো তবে তারাও তা পরিহার
করবে। আল্লাহর শপথ! আমি যেসব জিনিস থেকে নিষেধ করেছি তোমাদের কেউ তাতে লিপ্ত হলে
আমি তাকে দ্বিগুণ শাস্তি দেব।’ (আসসিয়াতুল ইসলামিয়া ফি আহদিল খোলাফায়ির রাশিদিন,
আবদুল মুতআল সায়েদি,
পৃষ্ঠা ১১৯)
প্রশাসনিক নিয়োগে
দুই শর্ত
ওমর (রা.)
প্রশাসনিক দায়িত্বে কাউকে নিযুক্ত করার আগে তার দুটি গুণ দেখে নিতেন। তা হলো,
ক. দায়িত্ব পালনের
সক্ষমতা, দুই.
বিশ্বাসযোগ্যতা। এই দুটি গুণের অভাবেই প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির উদ্ভব হয়। ইউসুফ
(আ.) রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব গ্রহণে তার উপযোগিতা বর্ণনার সময় দক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার
কথাই বলেন। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘ইউসুফ বলল,
আমাকে দেশের ধনভাণ্ডারে
দায়িত্ব দিন, (কেননা) আমি উত্তম
রক্ষক, অভিজ্ঞ।’ (সুরা ইউসুফ,
আয়াত : ৫৪-৫৫)
এ ছাড়া তিনি
ব্যক্তির ধর্মীয় ও জাগতিক জ্ঞান ও প্রজ্ঞা, তার ব্যক্তিত্বের প্রভাব, তার প্রতি মানুষের মনোভাব এবং মানুষের প্রতি
তার মমত্ব ও কল্যাণকামিতা ইত্যাদি বিষয় গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতেন। তিনি বলতেন,
‘আমি এমন ব্যক্তির সন্ধান
করি, যে গোত্রের নেতা
(ক্ষমতাশীল) হওয়ার পূর্বে নেতার মতো ছিল। যখন সে তাদের নেতা হলো, তখন তাদেরই একজন (সাধারণ মানুষের মতো) হয়ে
গেল।’ (নাজমুল হিকাম ওয়াল ইদারাহ ফিদ-দাওলাতিল ইসলামী, ওমর শারিফ, পৃষ্ঠা ২৭৬)
পদপ্রত্যাশীকে
প্রত্যাখ্যান
রাষ্ট্রীয়
দায়িত্ব অর্পণে ওমর (রা.) সর্বতোভাবে পদপ্রত্যাশীদের প্রত্যাখ্যান করতেন। তিনি
বলতেন, ‘যে ব্যক্তি দায়িত্ব লাভে
প্রলুব্ধ তার পক্ষে পদের মর্যাদা রক্ষা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়। যে
নেতৃত্ব লাভে প্রলুব্ধ সে ভারসাম্য রক্ষা করে কাজ করতে পারে না। কেননা পদের
প্রত্যাশাই প্রমাণ করে সে তার মাধ্যমে লাভবান হতে চায়। এই লোভ তার যোগ্যতা নষ্ট
করে।’ (আস সিয়াতু ফিল ফিকরিল ইসলামী, ড. আহমদ শালবি, পৃষ্ঠা ১৬২)
গুরুত্বপূর্ণ পদে
অধিষ্ঠিতদের জন্য ব্যবসা নিষিদ্ধকরণ
ওমর ইবনুল
খাত্তাব (রা.) ‘কর্মরত অবস্থায়’ গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় দায়িত্বপালনকারীদের জন্য
ব্যবসা, ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানে
চাকরি, ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানের
সহযোগিতা করা নিষিদ্ধ করেন। যেন তারা এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দুর্নীতির কালো
টাকা সাদা করতে না পারে। হারিস বিন কাব নামক একজন কর্মকর্তার আর্থিক উন্নতি চোখে
পড়লে তিনি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। হারেস বিন কাব বলেন, আমি ব্যবসা করে প্রবৃদ্ধি করেছি। ওমর (রা.)
বলেন, আল্লাহর শপথ! আমি তোমাদের
সেখানে ব্যবসা করতে পাঠাইনি। অতঃপর তিনি তাঁর ‘লভ্যাংশ’ বাজেয়াপ্ত করেন। (আস
সিয়াতু ফিল ফিকরিল ইসলামী, ড. আহমদ শালবি,
পৃষ্ঠা ১১৯)
আত্মীয়করণ পরিহার
আত্মীয়করণ
প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির অন্যতম কারণ। খলিফা ওমর (রা.) তাঁর শাসনামলে আত্মীয় নিয়োগ
থেকে বিরত ছিলেন। তাঁদের ছাড়া যাঁরা রাসুলুল্লাহ (সা.) ও আবু বকর (রা.) কর্তৃক
নিয়োগ পান এবং ইসলাম ও মুসলমানের জন্য তাঁদের ত্যাগ ও বিসর্জন সর্বজনস্বীকৃত ছিল।
যেমন, সায়িদ ইবনে জায়েদ ও তাঁর
ছেলে আবদুল্লাহ। তিনি বলতেন, ‘যে ব্যক্তি
ব্যক্তিগত সম্পর্ক বা আত্মীয়তার কারণে কাউকে নিয়োগ দিল এবং প্রয়োজনীয় শর্ত বিবেচনা
করল না, সে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল
(সা.)-এর প্রতি বিশ্বাস ভঙ্গ করল।’ (ফসলুল খিতাব ফি আমিরিল মুমিনিনা ওমর ইবনুল
খাত্তাব, ড. আলী মুহাম্মদ
মুহাম্মদ সাল্লাবি, পৃষ্ঠা ৩৮১)
নিয়োগের আগে-পরে
আর্থিক হিসাব গ্রহণ
আর্থিক দুর্নীতি
ও ঘুষ বন্ধে ওমর (রা.) কর্মকর্তাদের নিয়োগের আগে ও পরে নিয়মিত সম্পদের হিসাব
নিতেন। গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের পর তাঁদের আর্থিক কার্যক্রমও তিনি শর্তাধীন করে
দিতেন। এমনকি যাঁদের প্রতি প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের অভিযোগ ছিল না তাঁদেরও
সম্পদের হিসাব তিনি গ্রহণ করতেন। সম্পদ হিসেবে নগদ অর্থ, স্থাবর সম্পদ, গৃহপালিত পশু, বাহন, পোশাকাদি ও ঘরের আসবাবপত্রের হিসাব নিতেন তিনি। (আস সিয়াতুল ওয়াল মুজতামা ফি
আহদির রাশিদিন, পৃষ্ঠা ২৩৯)
অভিযোগের পর
দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ
প্রশাসনিক কর্মকর্তা
ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার অবাধ সুযোগ ছিল ওমর (রা.)-এর যুগে।
জনগণের যেকোনো অভিযোগ তিনি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতেন এবং দ্রুততম সময়ে তার
ব্যবস্থা নিতেন। ব্যক্তি যত প্রভাবশালীই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক
ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন। প্রখ্যাত সাহাবি ও মিসর বিজেতা আমর ইবনুল আস (রা.)-এর ছেলের
বিরুদ্ধে এক মিসরীয়কে প্রহার করার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ পাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে তিনি
তাঁদের তলব করেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে জনসম্মুখে আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস
(রা.)-কে প্রহার করার নির্দেশ দেন এবং বলেন, ‘তোমরা কবে থেকে মানুষকে দাস বানিয়ে ফেললে,
অথচ তারা স্বাধীন হিসেবে
জন্মেছে।’ (ইসলামী কা ইকতিসাদি নিজাম, মাওলানা হিফজুর রহমান, পৃষ্ঠা ১৯০)
প্রশাসনিক
গোয়েন্দা বিভাগ প্রতিষ্ঠা
প্রাতিষ্ঠানিক
দুর্নীতি রোধে ওমর (রা.) প্রশাসনিক গোয়েন্দা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন। গোয়েন্দাদের
মাধ্যমে তিনি রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সার্বিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ
করতেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেন। ফলে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের কাজের
ব্যাপারে সতর্ক ও সচেতন থাকত। (নিজামুল হুকমি ফিশ-শারিয়াতি ওয়াত-তারিখিল ইসলামী,
জাফর আল কাসেমি, পৃষ্ঠা ৫০৬)
এ ছাড়া ওমর (রা.)
হজের সময় প্রত্যেক অঞ্চলের প্রশাসনিক প্রধানদের একত্র হওয়ার নির্দেশ দিতেন এবং
সমবেত মানুষের মূল্যায়ন গ্রহণ করতেন। ওমর (রা.)-এর সুশাসন ও দক্ষতায় ইসলামী খেলাফত
‘আদর্শ শাসনে’র দৃষ্টান্তে পরিণত হয়। লেখক নূরনবী যথার্থই বলেছেন, ‘তিনি ছিলেন ইসলামের রাজনৈতিক শাসনব্যবস্থার
প্রতিষ্ঠাতা’। (মুসলমানের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, পৃষ্ঠা ১৫৭)
হযরত ওমরের ছেলের বিচার
হযরত ওমরের ছেলের বিচার
হজরত ওমর (রা) ও তার পুত্র আবু শাহমা এর ব্যপারে বহুল
প্রচলিত একটি ভুল ও বানোয়াট গল্প
► সংক্ষেপে
প্রচলিত গল্পঃ হযরত ওমর (রা) এর পুত্র আবু শাহমা মদ্যপান করে একটি মহিলার সাথে
ব্যাভিচার করে। পড়ে মহিলাটি গর্ভবতী হয়ে পড়ে। একদিন সে তার বাচ্চাকে নিয়ে এসে হজরত
ওমর (রাঃ) এর কাছে এই বিষয়ে নালিশ করে। আবু শাহমা তখন খাচ্ছিলেন। সেই অবস্থায় ওমর
(রাঃ) তার পুত্রকে তাড়াতাড়ি খাবার শেষ করতে বলে।
এরপর ওমর (রাঃ) মদ্যপান ও ব্যাভিচার করার অপরাধে তাঁর
নিজ পুত্র আবু শাহমাকে ১০০ টি দোররা বা বেত্রাঘাত করেন এবং সেখানেই সাথে সাথে তাঁর
পুত্র মারা যায়। পরে নিজ পুত্রের কবরের পাশে গিয়ে ওমর (রাঃ) ক্রন্দন করতে থাকে। এই
ব্যাভিচার এর বিস্তারিত ঘটনা, স্বীকারোক্তি, শাস্তি, পিতা-পুত্রের কথাবার্তা নিয়ে লম্বা কাহিনী
এমনবভাবে প্রচলিত যে তা শুনলে শ্রোতাগণের চোখে পানি চলে আসে। এর সাথে অবাক হয়ে যাই
যে হজরত উমার (রা) এর ছেলে মদ্যপান ও ব্যাভিচার এর মত এমন খারাপ কাজ করতে পারল!
তখন স্বাভাবিকভাবেই তাঁর ছেলে আবু শাহমা কে খারাপ মনে হয়। কিন্তু সকল মুহাদ্দিসগন
একমত যে এটা একটা ভিত্তিহীন, মিথ্যা বানানো গল্প।
ইবনুল জাওযী বলেন, “সাধারন
শ্রোতাদেরকে কাঁদানোর জন্য জাহিল ওয়ায়েযগন এগুলো বানিয়েছে"। ► প্রকৃত সত্য ইতিহাসঃ এখন আমরা জানবো প্রকৃত সত্য ইতিহাস যা আবু শাহমার ভাই ইবনে উমার (রা), সেখান থেকে
সালিম, সেখান থেকে
মুয়াম্মার সেখান থেকে আবদ-আল-রাজ্জাক (ইমাম বুখারির শিক্ষক) তাঁর “মুসান্নাফ
আবদ-আল-রাজ্জাক” গ্রন্থে বর্ণিত করেছেন। সঠিক ঘটনা হলঃ হযরত উমার (রা) এর পুত্র
আবু শাহমার পূর্ণনাম হল আব্দুল রাহমান আবু শাহমা। তিনি মুসলিম সেনাবাহিনীর হয়ে
মিশরে যুদ্ধ করে জয়লাভ করার পর সেখানেই অবস্থান করেন। একদিন তিনি তাঁর বন্ধুকে
নিয়ে নাবীয (খেজুর ভিজিয়ে তৈরি করা শরবত) পান করেন।
কোন কারনে এই খেজুরের শরবতে মাদকতা এসে গিয়েছিল, ফলে তাদের
মাঝেও অনিচ্ছাকৃতভাবে হলেও মাতলামি চলে আসে। পরদিন তিনি তাঁর বন্ধুকে নিয়ে মিশরের
প্রশাসক হজরত আমর বিন আল আস (রা) কে বিস্তারিত সব ঘটনা খুলে বলেন এবং নিজ
মদ্যপানের অপরাধে ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী এর শাস্তি চান। তখন আমর (রা) তাকে ও তার
বন্ধুকে তাঁর নিজ ঘরের মধ্যেই বেত্রাঘাত করেন । সেখানে তাদের চুল মণ্ডনও করা হয়।
পরে ওমর (রা) এই ঘটনা জানতে পেরে পত্র মারফত আমর (রা) কে তিরস্কার করেন এবং বলেন
সাধারন মুসলিম জনগণকে যেভাবে জনসম্মুখে শাস্তি দেওয়া হয়, তেমনি আমার
পুত্রকেও সেভাবে শাস্তি প্রদান করা উচিত ছিল।
তিনি আবু শাহমাকে শুধুমাত্র একটি খালি উটে করে মদিনায়
ফেরত পাঠাতে বলেন। মদিনায় পোঁছানর পর পুনরায় জনসম্মুখে হজরত ওমর (রা) নিজে তাকে
বেত্রাঘাতের শাস্তি প্রদান করেন। এর কিছুদিন পর (এক সপ্তাহ বা এক মাস) আবু শাহামা
ইন্তেকাল করেন। তাঁকে জান্নাতুল বাকীতে কবর দেওয়া হয়। এখান থেকে দেখা যায়- ১. আবু
শাহমা হযরত ওমর (রা) এর আঘাতে তাৎক্ষনিক মারা যাননি।
২. ব্যাভিচার তো দূরে থাক আবু শাহমা (রা) ইচ্ছা করে
মদ্যপান করেননি। এরপরেও তিনি নিজে ইসলামী শরীয়তের শাস্তি নিজের উপরে নিয়েছেন
শুধুমাত্র তাঁর মজবুত ঈমানের কারনে।
Syll Jam
Syll Jam
-
হযরত ওমরের ছেলের বিচার হজরত ওমর (রা) ও তার পুত্র আবু শাহমা এর ব্যপারে বহুল প্রচলিত একটি ভুল ও বানোয়াট গল্প ► সংক্ষেপে প্রচ...
-
Del
-
আমার প্রিয় লেখক লিও তলস্তয় সাইকেল চালানো শিখেছিলেন ৬৭ বছর বয়সে আর আমার প্রিয় আর্টিস্ট পাবলো পিকাসো বিয়ে করেছিলেন ছিয়াত্তর বছর বয়সে। সবচেয়ে ...